সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সাঁথিয়ায় শশী বাহিনীর বিচার চেয়ে গ্রামবাসীর অভিযোগ

শশী বাহিনীর প্রধান এনামুল কবির শশী। ছবি : কালবেলা
শশী বাহিনীর প্রধান এনামুল কবির শশী। ছবি : কালবেলা

পাবনার সাঁথিয়ায় শশী বাহিনীর অত্যাচারে গ্রাম ছাড়া ৪৭টি পরিবার প্রায় ৪ বছর পর এলাকায় ফিরে এলে তাদের ওপর ফের হামলা চালায় শশী বাহিনী।

এ ঘটনায় আছির প্রামাণিক নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শশী বাহিনীর অত্যাচারের বিচার চেয়ে সাঁথিয়ায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে শুক্রবার (৯ আগস্ট) লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন গ্রামবাসী।

এনামুল কবির শশী উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের দয়রামপুর গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে। তিনি ধোপাদহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।

অভিযোগে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৫ মার্চ উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের দয়রামপুর গ্রামের তাজমুল মেম্বার গ্রুপের সঙ্গে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী এনামুল কবীর শশী বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এ সময় শশীর পক্ষের নাজির উদ্দিন (৩০) নামে একজন নিহত হন।

এ ঘটনায় ২৯ জনের নামে মামলা হয়। প্রায় ৪ বছর আসামিদের গ্রাম ছাড়া করে রাখে। এমনকি ওই পরিবারগুলোর বাড়িঘর, জমি দখল করে নেয়। আত্মসাৎ করে তাদের জমির ফসলসহ কোটি টাকার সম্পদ।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাড়ি ছাড়া ৪৭টি পরিবার তাদের বাড়িতে ফিরে এলে শশী বাহিনীর লোকজন তাদের ওপর আবারও হামলা করে। শুরু হয় সংঘর্ষ।

এ সময় শশী বাহিনীর আছির উদ্দিন (৪২) নামে একজন ফালাবিদ্ধ হন। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার মারা যান। এ পর্যন্ত শশী বাহিনীর গ্রুপের সদস্য কেরাই, মিলন, রবিউলসহ বেশ কয়েকজন ওই গ্রামের আব্দুর রহমান পাষাণের বাড়িঘর লুটপাট করে ও তার স্ত্রীকে হেনস্তা করে।

এ ব্যাপারে শশীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর পক্ষে তাজমুল মেম্বার, লিয়াকত আলী খোকন, ফরহাদ ও লাল মিয়া সাঁথিয়া উপজেলার দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট সেনা কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন কালবেলাকে বলেন, ওই গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। থানার কার্যক্রম শুরু হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মুখে সাড়ে ৬ লাখ গ্রাহক

রাসুলের দেখানো পথেই মানুষ সৎভাবে চলার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত লাভ করে : তারেক রহমান 

চূড়ান্ত সীমানা পুনর্নির্ধারণ / সংসদীয় আসন বাড়ল গাজীপুরে, কমলো বাগেরহাটে

নুরের ওপর হামলার বিচার না হলে সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি

যাত্রীসেবায় নতুন পদক্ষেপ নিল চট্টগ্রাম রেলওয়ে বিভাগ

ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম-সিলেটের রেল চলাচল স্বাভাবিক

কোয়াব নির্বাচনের পর চূড়ান্ত পদ তালিকা: কে পেলেন কোন পদ?

অস্থিরতার মধ্যে দেশত্যাগ করলেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী

জাতিসংঘ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে পূর্ণ সমর্থন করে : গুইন লুইস

গৃহবধূকে বিয়ের প্রস্তাব দেন সোহেল, রাজি না হওয়ায় হত্যা

১০

চলতি বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ রোববার, দেখা যাবে বাংলাদেশ থেকেও

১১

সুখবর পেলেন পাকিস্তানের কারাবন্দি নেতা ইমরান খান

১২

পাহাড়িয়াদের ঘরছাড়া করার পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে, হচ্ছে না ভোজ

১৩

পাকিস্তানে রাজনৈতিক দলের জনসভায় বোমা হামলা, নিহত ১৫

১৪

জাগপা সভাপতি লুৎফরের খোঁজ নিলেন জামায়াত নেতারা

১৫

নির্বাচনী জোয়ারে আ.লীগের সব ষড়যন্ত্র ভেসে যাবে : গয়েশ্বর 

১৬

শরীরের যে ১০ লক্ষণ ক্যানসারের ইঙ্গিত দেয়

১৭

বাসচাপায় স্কুলছাত্র নিহত, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

১৮

বিচারকের সামনে সাংবাদিক মারধরে জড়িত আইনজীবীদের বিচারের দাবি সিআরইউর 

১৯

নির্বাচন বানচালের সব ষড়যন্ত্রই রুখে দিতে হবে : নীরব

২০
X