রংপুরের পীরগাছায় বিদ্যুতের লোডশেডিং কমে গেছে। আগে যেখানে কয়েক ঘণ্টা লোডশেডিং থাকত, সেখানে এখন লোডশেডিং নেই বললে চলে। সপ্তাহখানেক ধরে বিদ্যুৎসেবার এমন পরিবর্তনে স্বস্তি ফিরেছে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।
স্থানীয়রা বলছেন, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে বিদ্যুৎ এখন বেশি থাকছে। তবে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদা কমায় ও বরাদ্দ বেশি পাওয়ায় লোডশেডিং কম হচ্ছে।
উপজেলার দোয়ানী মনিরাম গ্রামের মিথুন মিয়া বলেন, সপ্তাহ খানেক আগেও দিনের বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকত না। এখন বিদ্যুৎ ভালো থাকছে। এটাতে আমরা খুশি। আমাদের মতো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা এতে লাভবান হচ্ছে।
এসএসসি পরীক্ষার্থী রিফাজ রায়হান বলেন, আগে রাতে পড়তে বসলেই বিদ্যুৎ চলে যেত। আমাদের পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটত। এখন সবসময় বিদ্যুৎ থাকায় রাতের বেলা ঠিকঠাক পড়াশোনা করতে পারছি।
অনন্তরাম গ্রামের গৃহিণী জুঁই বেগম বলেন, কয়দিন আগেও লোডশেডিং ও গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল জীবন। রাতের বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকত না। ঠিকমতো ঘুমটাও হতো না। বিশেষ করে শিশুদের খুব কষ্ট হতো। এখন বিদ্যুৎ কখন যায় বোঝা যায় না। জীবনে যেন স্বস্তি ফিরে এসেছে।
খামারি খোরশেদ আলম বলেন, মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশু তীব্র গরম ও লোডশেডিংয়ের কারণে খুব কষ্টে ছিল। আমরা খুব চিন্তায় ছিলাম গরুর হিটস্ট্রোক হয় কিনা। যাক এখন একটু চিন্তামুক্ত আছি।
পশ্চিমদেবু গ্রামের রবিউল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগেও দিনে ১০-১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকত না। একদিকে গরম আবার আরেক দিকে বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছিল। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে হয়তো আমরা এখন ভালো সেবা পাচ্ছি। সবসময় এমন সেবা পেলে ভালো লাগত।
রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর পীরগাছা জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. নুরুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, এই অফিসের আওতায় গত ২ আগস্ট হতে লোডশেডিং কমেছে। ২ আগস্টের পূর্বে এই উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ২০ মেগাওয়াট। বর্তমানে চাহিদা ১৫ মেগাওয়াট।
তিনি বলেন, ধারণা করা যায়, বিভিন্ন অফিসে কাজ কম বা বন্ধ ও তুলনামূলক গরম একটু কম হওয়ায় লোডশেডিংয়ের পরিমাণ কম বা নেই বললেই চলে। এ ছাড়া আগে বরাদ্দ কম পেতাম, এখন বরাদ্দ বেশি পাচ্ছি।
মন্তব্য করুন