শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০৮:২৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না গুলিবিদ্ধ বেল্লালের

ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ বেল্লাল। ছবি : কালবেলা
ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ বেল্লাল। ছবি : কালবেলা

ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকায় দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার শিক্ষার্থী বেল্লাল। হাসপাতাল থেকে গুলি বের করার পর নিরাপত্তার শঙ্কায় তড়িঘড়ি করে গ্রামে চলে যান তিনি। তবে এখনো পুরোপুরি সুস্থ হননি। পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না। তাই ঠিকমতো ওষুধ কেনাসহ উন্নত চিকিৎসাও নিতে পারছেন না তিনি। বেল্লালের বাবা মো. আলাউদ্দিন গাজী পেশায় একজন সিএনজিচালক।

পটুয়াখালীর বাউফলের কালাইয়া ইউনিয়নের কালাইয়া গ্রামে বাড়ি বেল্লালের। কালাইয়া ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০২২ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আর্থিক অনটনে বিএ ভর্তি হওয়া সম্ভব হয়নি। ইচ্ছা ছিল চাকরি করে পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনবেন। তাই মাস ছয়েক আগে রামপুরা টেলিভিশন ভবন এলাকায় এসএ নার্সিং হোম কেয়ার বিডি নামে একটি প্রতিষ্ঠানে পার্টটাইম চাকরি নেন তিনি।

৫ আগস্ট ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির উল্টোদিকে মেরুল বাড্ডা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। বেল্লাল জানান, ঘটনার দিন বন্ধুদের সঙ্গে আন্দোলনে গিয়ে দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন সড়কে। কয়েকজন তাকে আফতাবনগরে নাগরিক স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে রোগীর চাপ বেশি থাকায় তাকে নেওয়া হয় হেলথ কেয়ার নামে একই এলাকার ছোট পরিসরে গড়ে ওঠা একটি চিকিৎসাকেন্দ্রে। দুই দিন পরে খবর পেয়ে ছুটে আসেন নারায়ণগঞ্জ এলাকায় পল্লী বিদ্যুতে কর্মরত বড় বোন আঁখি আক্তার।

এরপর তার পায়ের গুলি বের করা হয় বাসাবো এলাকার মাল্টিকেয়ার হাসপাতালে। এরপর ৯ আগস্ট গ্রামের বাড়ি চলে আসেন বেল্লাল। ক্ষত সারাতে চার ঘণ্টা পর পর ওষুধ খেতে হয় তাকে। এখন পর্যন্ত দুপায়ে ভর করে দাঁড়াতে পারছেন না তিনি। রয়েছে তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা। স্থানীয় একটি ফার্মেসিতে ড্রেসিং করতে গেলে সেখানে গ্রাম্য চিকিৎসক বেল্লালের অবস্থা দেখে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিলেও সামর্থ্য নেই তার পরিবারের।

বেল্লালের বাবা সিএনজিচালক আলাউদ্দিন গাজী বলেন, দুটো ছেলে-মেয়ে আমার। আমি সিএনজি চালাই। তেমন আয় হয় না। যা আয় করি তা দিয়ে কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হয়। এ অবস্থায় ছেলের চিকিৎসা করাব কীভাবে?

বেল্লালের মা নাজমা বেগম বলেন, ছেলের পায়ে গুলি লাগার কথা শুনে মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। সংসারের দুরবস্থা। ঋণ করে ঘরের কাজ করেছি। টাকার অভাবে ছেলেটার চিকিৎসা করাতে পারছি না। বিছানায় শুয়ে ব্যথায় কাতরাচ্ছে। মা হয়ে আর সহ্য করতে পারছি না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ৪২ জনকে স্ট্যান্ড রিলিজ

 ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘তুই’ বলায় তুমুল সংঘর্ষ, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বর্জন

আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই : গণতন্ত্র মঞ্চ 

চার দেশে বন্যায় ১৫০০ মৃত্যুর পর নতুন আতঙ্ক

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত

শাহজালালে ‘এয়ারপোর্ট মিনি ফায়ার এক্সারসাইজ-২০২৫’ সম্পন্ন

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম

ইউএনও হলেন লাক্স সুন্দরী সোহানিয়া

তারেক রহমানের ৩১ দফায় বদলে যাবে শরীয়তপুর : নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু

এরশাদ-হাসিনা কারও সঙ্গেই আপস করেননি খালেদা জিয়া : মিল্লাত

১০

মান্নাকে ইসলামী ব্যাংকের চূড়ান্ত নোটিশ, আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি

১১

সব দল ইসলামের পতাকাতলে সমবেত হবে ইনশাআল্লাহ : অধ্যাপক মুজিবুর

১২

মনোনয়নের খবর শুনে উচ্ছ্বাস, কিছুক্ষণ পর বিএনপি নেতার মৃত্যু

১৩

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যা / সাবেক বিচারপতি-হুইপসহ ১৫৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট

১৪

ইসলামের বিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

১৫

ববি উপাচার্য দপ্তরে ‘মুলা’ ঝুলিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ

১৬

ধেয়ে আসছে তীব্র শীত, দফায় দফায় শৈত্যপ্রবাহ

১৭

‘বাকসু’ নিজেদের রাখতে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি

১৮

নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে ২ রাজনৈতিক দল

১৯

বেওয়ারিশ কুকুরের প্রতি সামিনের ‘অদ্ভুত’ ভালোবাসা

২০
X