শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২
বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০৮:২৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না গুলিবিদ্ধ বেল্লালের

ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ বেল্লাল। ছবি : কালবেলা
ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ বেল্লাল। ছবি : কালবেলা

ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকায় দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার শিক্ষার্থী বেল্লাল। হাসপাতাল থেকে গুলি বের করার পর নিরাপত্তার শঙ্কায় তড়িঘড়ি করে গ্রামে চলে যান তিনি। তবে এখনো পুরোপুরি সুস্থ হননি। পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না। তাই ঠিকমতো ওষুধ কেনাসহ উন্নত চিকিৎসাও নিতে পারছেন না তিনি। বেল্লালের বাবা মো. আলাউদ্দিন গাজী পেশায় একজন সিএনজিচালক।

পটুয়াখালীর বাউফলের কালাইয়া ইউনিয়নের কালাইয়া গ্রামে বাড়ি বেল্লালের। কালাইয়া ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০২২ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আর্থিক অনটনে বিএ ভর্তি হওয়া সম্ভব হয়নি। ইচ্ছা ছিল চাকরি করে পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনবেন। তাই মাস ছয়েক আগে রামপুরা টেলিভিশন ভবন এলাকায় এসএ নার্সিং হোম কেয়ার বিডি নামে একটি প্রতিষ্ঠানে পার্টটাইম চাকরি নেন তিনি।

৫ আগস্ট ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির উল্টোদিকে মেরুল বাড্ডা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। বেল্লাল জানান, ঘটনার দিন বন্ধুদের সঙ্গে আন্দোলনে গিয়ে দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন সড়কে। কয়েকজন তাকে আফতাবনগরে নাগরিক স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে রোগীর চাপ বেশি থাকায় তাকে নেওয়া হয় হেলথ কেয়ার নামে একই এলাকার ছোট পরিসরে গড়ে ওঠা একটি চিকিৎসাকেন্দ্রে। দুই দিন পরে খবর পেয়ে ছুটে আসেন নারায়ণগঞ্জ এলাকায় পল্লী বিদ্যুতে কর্মরত বড় বোন আঁখি আক্তার।

এরপর তার পায়ের গুলি বের করা হয় বাসাবো এলাকার মাল্টিকেয়ার হাসপাতালে। এরপর ৯ আগস্ট গ্রামের বাড়ি চলে আসেন বেল্লাল। ক্ষত সারাতে চার ঘণ্টা পর পর ওষুধ খেতে হয় তাকে। এখন পর্যন্ত দুপায়ে ভর করে দাঁড়াতে পারছেন না তিনি। রয়েছে তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা। স্থানীয় একটি ফার্মেসিতে ড্রেসিং করতে গেলে সেখানে গ্রাম্য চিকিৎসক বেল্লালের অবস্থা দেখে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিলেও সামর্থ্য নেই তার পরিবারের।

বেল্লালের বাবা সিএনজিচালক আলাউদ্দিন গাজী বলেন, দুটো ছেলে-মেয়ে আমার। আমি সিএনজি চালাই। তেমন আয় হয় না। যা আয় করি তা দিয়ে কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হয়। এ অবস্থায় ছেলের চিকিৎসা করাব কীভাবে?

বেল্লালের মা নাজমা বেগম বলেন, ছেলের পায়ে গুলি লাগার কথা শুনে মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। সংসারের দুরবস্থা। ঋণ করে ঘরের কাজ করেছি। টাকার অভাবে ছেলেটার চিকিৎসা করাতে পারছি না। বিছানায় শুয়ে ব্যথায় কাতরাচ্ছে। মা হয়ে আর সহ্য করতে পারছি না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চট্টগ্রামে চিন্ময়ের জামিনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ট্রাম্পের ঘোষণার পরই কমেছে সোনার দাম

রাবি অ্যালামনাই নির্বাচনের তপশিল না দিলে লংমার্চ করা হবে : ড. হেলাল

সাহিত্য সংসদের মুক্তমঞ্চ গুঁড়িয়ে দেওয়ায় অভিনব প্রতিবাদ

পাকিস্তানে বিদেশি ঋণ বন্ধে ভারতের তদবির, উত্তেজনায় নতুন মাত্রা

এনপিসিবিএলের সঙ্গেই হচ্ছে রূপপুর নিউক্লিয়ার প্লান্টের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি

চাঁদপুরে গ্যাস অনুসন্ধানে বাপেক্সের পরীক্ষামূলক কূপ খনন

এখন মানুষ মন খুলে লিখছেন, সমালোচনা করছেন : প্রেস সচিব

মাদকাসক্ত ছেলের হাতে প্রাণ গেল বাবার, হাসপাতালে মা 

‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে ফিরবে গণতন্ত্রের মূলধারা’

১০

আফতাবনগরে পশুর হাট না বসানোর দাবিতে বিক্ষোভ 

১১

গাজাগামী ত্রাণবাহী জাহাজে ড্রোন হামলা

১২

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করল ভারত

১৩

আন্দোলন সংগ্রাম শেষ, এখন দেশ গড়ার সময় : আমীর খসরু

১৪

মামলা না নেওয়ায় ওসিকে জজকোর্টের পিপির হুমকি

১৫

‘আ.লীগের বিচার ও সংস্কারের আগে দেশে কোনো নির্বাচন নয়’

১৬

পায়রা নদী থেকে মৃত ডলফিন উদ্ধার

১৭

শেখ হাসিনার ফাঁসি চাই কি না, জনগণের কাছে সার্জিসের প্রশ্ন

১৮

কাশ্মীরে হামলার পেছনে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা : দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

১৯

‘কমিউনিটি ফার্মেসি নিয়ে ভাবতে হবে ফার্মাসিস্টদের’

২০
X