বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ আন্দোলন ঘিরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আজাদ সরকারকে (৫০) কুপিয়ে হত্যার ১৩ দিন পর মামলা করা হয়েছে। নিহতের ছেলে হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি আহম্মেদ কবির হিমেল বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাজীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রশীদ।
মামলার এজাহারে আওয়ামী লীগের ১৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে নুরু কাজী (৫২) নামে এক আসামিকে গত বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নিহত আজাদ সরকার হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৮ নম্বর ওয়ার্ড টোরাগড় গ্রামের সরকার বাড়ির মৃত আনু সরকারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদের অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন গত ৪ আগস্ট বিকেলে নিজ বসতবাড়ির সামনে ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি হিমেলের বাবা আজাদ সরকারকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাতেই কুমিল্লার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে যথাসময়ে মামলা করা যায়নি।
তাই, গত বুধবার ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে হাজীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের ছেলে হিমেল। মামলায় একই গ্রামের কাজীবাড়ির ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মিঠু কাজী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোবারক কাজী, আওয়ামী লীগ নেতা বশির কাজী, বাদল কাজী, নুরু কাজী, ছাত্রলীগ নেতা তুষার কাজী, রাকিব কাজী, সিয়াম কাজী ও রুবেল কাজীকে আসামি করা হয়।
এ ছাড়া পৌরসভাধীন মকিমাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল আলম বেপারী, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাছান রাব্বি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকুর আলম শুভ, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন আজাদ, আওয়ামী লীগ নেতা ও গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাচৈ গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে জসিম উদ্দিন, গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মৈশামূড়া গ্রামের আবুল বাসারের ছেলে সুমনকে আসামি করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাজীগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, মামলার নামীয় আসামি নুরু কাজীকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
মন্তব্য করুন