টানা তিন দিনের ভারি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে কক্সবাজারের পেকুয়ার ২২ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। দুশ পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে। চলাচলের সড়কও গেছে তলিয়ে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার টইটং ইউনিয়নের বটতলী ১নং ওয়ার্ডের মালাগাড়া, আলিগ্যাকাটা, কোনা পাড়া, বকসো মুরা, ওয়াছ খাতু পাড়া, নতুন পাড়া, হাবিব পাড়া, রিজাভ পাড়া, ২নং ওয়ার্ডের পন্ডিত পাড়া, শের আলি মাস্টার পাড়া, হাজির পাড়া, মিত্যান্ত ঘোনা, ৩নং ওয়ার্ডের বাজার পাড়া, ৫নং ওয়ার্ডের বড়পাড়া, পুরাদিয়া, বাজার পাড়া, ৭নং ওয়ার্ডের হাজিবাড়ি, মাঝর পাড়া, ৮নং ওয়ার্ডের হিরাবুনিয়া পাড়াসহ প্রায় ২২টি গ্রামের অন্তত দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে। মানুষের ধান, মাছ, সবজি ক্ষেতসহ ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।
এ ছাড়াও টইটং উচ্চ বিদ্যালয়, টইটং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টইটং ইক্বরা স্কুল, টইটং আলহেরা মডেল একাডেমি, হাজিবাজার আহালিয়া ইলামিয়া বালিকা মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হওয়ায় ব্যাহত হয় শিক্ষা কার্যক্রম।
মেহেরনামার বাসিন্দারা জানান, পেকুয়ার পূর্বমেহেরনামা এলাকায় বেড়িবাঁধটি ভেঙে যায় তাহলে পেকুয়ার অন্তত ৫০ হাজার লোক পানিবন্দি হয়ে যাবে, তলিয়ে যাবে মানুষের ঘরবাড়ি। গতবছরও বেড়িবাঁধটি ভাঙার কারণে পেকুয়ার মানুষ পানিবন্দি হয়ে ঘরবাড়ি তলিয়ে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছিল।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাহেদ বলেন, আমার এলাকায় বেড়িবাঁধটি ভেঙে প্রায় সময় পেকুয়া তলিয়ে যায়। এবার আমি সবসময় তদারকি করছি, যেন কোনো সমস্যা না হয়। পাহাড়ের পাশে বসবাসরত সবাইকে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিলখালীতে পাহাড় ধসের ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইউপি সচিবকে নিয়ে পানিবন্দিদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, টানা তিন দিনের ভারি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে বেশ কয়েকটি গ্রামের লোকজন পানিবন্দি রয়েছে। বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হবে।
মন্তব্য করুন