নোয়াখালী ব্যুরো
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৪, ১০:৫৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালীতে বন্যা, দুর্ভোগ চরমে

নোয়াখালীতে সড়ক ভবন কার্যালয়ের সামনে বন্যার খণ্ডচিত্র। ছবি : কালবেলা
নোয়াখালীতে সড়ক ভবন কার্যালয়ের সামনে বন্যার খণ্ডচিত্র। ছবি : কালবেলা

টানা বৃষ্টি, আধুনিক পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকা এবং খাল দখলের ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় ভয়াবহ বন্যার সাক্ষী হতে যাচ্ছে জেলা শহরসহ পুরো নোয়াখালীবাসী। এরইমধ্যে নোয়াখালী পৌরসভাসহ প্রায় সব উপজেলা পানিতে ভাসছে। গত এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালী জেলা শহরে জলাবদ্ধতা বন্যার আকার ধারণ করেছে। ডুবে গেছে শহররের প্রায় সবকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, বাসাবাড়িতেও ঢুকছে পানি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে পৌর এলাকার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে জেলা শহর মাইজদীর বিভিন্ন দপ্তর সংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জলাবদ্ধতাকবলিত হয়েছে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নিচের কক্ষ, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা আবহাওয়া অফিস, জেলা মৎস্য অফিস, প্রেস ক্লাব, রেডক্রিসেন্ট, বিআরডিবি, ম্যাটস্, বিদ্যুৎ অফিস, সাব রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড কক্ষ, শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম, বন বিভাগের বাংলো, নোয়াখালী সরকারি কলেজ, মাইজদী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি অনেক অফিস। এদিকে জেলার প্রধান সড়কের একটি অংশসহ টাউন হল মোড়, ইসলামিয়া সড়ক, ডিসি সড়ক, মহিলা কলেজ সড়ক, জেল খানা সড়ক, মাইজদী বাজার সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক এখন কয়েক ফুট পানির নিচে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন জীবিকার তাগিদে বের হওয়া শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষ।

স্থানীয়রা বলছেন,পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাবে এবং পানি নিষ্কাশনের নালাগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় শহরবাসীর এ দুর্ভোগ। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন অনেকে। দেশের প্রথম শ্রেণির পৌরসভাগুলোর একটি। দীর্ঘদিন ধরে এ শহরে জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌর কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকরি ব্যবস্থা নেয়নি। কালেভদ্রে কয়েকটি ড্রেনের কাজ করা হলেও সেগুলো নিম্নমানের। হালকা বৃষ্টিতেই এসব ড্রেন দিয়ে পানি নামতে অনেক সময় লাগে। এছাড়াও পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নোয়াখালী সদর উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নের প্রায় ২৬ হাজারেরও বেশি পরিবার। স্থানীয় মৎস্য চাষিরা জানান, জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ছোট বড় মিলিয়ে ২৫-২৭টি মাছের প্রজেক্ট ছিল, এ বন্যায় প্রায় সবগুলো প্রজেক্ট ডুবে গেছে। সপ্তাহব্যাপী ধরে চলা এ বন্যায় বহু পরিবারের রান্নাঘরসহ চুলা পর্যন্ত ডুবে যাওয়ার কারণে সদর উপজেলার নেওয়াজপুর ও চর উরিয়ার ৭০০ থেকে ১ হাজার মানুষ শুকনো খাবার খেয়েই দিন কাটাচ্ছে। বন্ধ হয়ে গেছে খেটে খাওয়া ও দিনমজুর মানুষের কর্মসংস্থান। এছাড়াও বিপাকে পড়েছেন গরু, ছাগলসহ গবাদি পশু পালনকারীরা।

স্থানীয়রা মানুষরা জানান, এই মুহূর্তে বন্যার্ত এলাকার পানিবন্ধি মানুষের মানুষজন খাদ্য সংকটে ভুগছেন। তাদের জন্য ত্রাণ সাহায্য জরুরি হয়ে পড়েছে। বিশুদ্ধ পানির অভাবে বাড়ছে ডায়রিয়াসহ নানা পানিবাহিত রোগ।

চলমান পরিস্থিতিতে বিকেলে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। পানি কমে গেলে প্রতিষ্ঠান চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দাবিতে জামায়াতের স্মারকলিপি

ইউএস-বাংলা গ্রুপের ট্যাক্স বিভাগে চাকরির সুযোগ

শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ, যান চলাচল স্বাভাবিক

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে যাদের পেল আর্জেন্টিনা

ওয়াই-ফাই রেডিয়েশনে কতটা ঝুঁকিতে আমরা?

ব্যাটারি কারখানায় বিস্ফোরণ, ৭ শ্রমিক দগ্ধ

সমাধান ও সফটওয়্যার শপের মধ্যে নতুন চুক্তি

১০০ আসনে প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণা করতে যাচ্ছে এবি পার্টি

পাক সীমান্তে ট্যাঙ্ক ও ভারী অস্ত্র মোতায়েন আফগানিস্তানের

তিন মন্ত্রণালয়ের ৩ সচিবকে বদলি

১০

নতুন ধর্ম সচিব কামাল উদ্দিন

১১

খুলনায় শিশু হত্যায় জড়িত ফয়সালের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

১২

শিশু মিমের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন শিমুল বিশ্বাস

১৩

পুয়ের্তো রিকো ম্যাচের আগে দুঃসংবাদ পেল আর্জেন্টিনা

১৪

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দাবিতে ঢাকার ডিসিকে জামায়াতসহ ৭ দলের স্মারকলিপি

১৫

ট্রুডোর সঙ্গে প্রমোদতরীতে ঘনিষ্ঠ কেটি পেরি

১৬

রাবিতে ফারুক হত্যা মামলার সব আসামি বেকসুর খালাস

১৭

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বাবাকে বাঁচাতে চান হাবিপ্রবির সালমা

১৮

রাতের অন্ধকারে ভোট চাই না : সিইসি

১৯

খাওয়ার পর বসে থাকার অভ্যাস ধূমপানের মতোই বিপজ্জনক

২০
X