যশোরের মনিরামপুরে বিএনপি কর্মীকে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান, থানার তৎকালীন ওসিসহ ৬০ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহমেদের আদালতে মামলার এ আবেদন করা হয়।
মনিরামপুর উপজেলার উত্তর লাউড়ী গ্রামের বিএনপি কর্মী আনিসুর রহমানকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় তার ভাই মফিজুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলার আবেদন করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী এমএ গফুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মনিরামপুর থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, আনিসুর রহমান বিএনপির রাজনীতি করতেন। যে কারণে স্থানীয় এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বিরোধ ছিল। বিরোধের জেরে ২০১৬ সালের ২ নভেম্বর ভোরে ৬০-৭০ জন একযোগে আনিসুরের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা তৎকালীন এমপি স্বপন ভট্টাচার্য্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী মাহমুদুল হাসানের নির্দেশে আনিসুরকে কুপিয়ে জখম করে পায়ে গুলি করে। পরে স্থানীয় থানার ওসিকে ডেকে আনিসুরকে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন যশোর জেনারেল হাসপাতালে মর্গে আনিসুরের লাশ পাওয়া যায়। হত্যার ঘটনায় থানায় ও আদালতে অভিযোগ দিলেও তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি।
বর্তমানে পরিবেশ অনুকূলে হওয়ায় ন্যায় বিচারের স্বার্থে মফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করছেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বাচ্চু, সাবেক এমপি খান টিপু সুলতানের ছেলে সাদাব, সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যর ছেলে শুভ, শ্যামকুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর, সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি, মনিরামপুর থানার তৎকালীন ওসি বিপ্লব কুমার নাথ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মাহামুদুল হাসান, উত্তর লাউড়ী গ্রামের নিরাপদর ছেলে আরাধন ঘোষ, অতিজ ঘোষের তিন ছেলে রিপন, সুমন, সুজন, হামিদ শেখের ছেলে ইদ্রিস আলী, গোবিন্দ কুমারের ছেলে মিলন, অভিন্দ্র নাথ ঘোষের ছেলে মনোরঞ্জন ঘোষ, মরহুম জাহান আলী গাজীর চার ছেলে বাবলু, ভুট্টো, রফিকুল, শফিকুল, ফজলুর ছেলে আহাদ আলী, মরহুম গোলাম রহমানের ছেলে মকলেসুর রহমান মুকুল, গোলাম কুদ্দুসের ছেলে মুকিত, গৌর ঘোষের ছেলে দীপক, মুছার ছেলে বিল্লাল, আজিজের ছেলে রাজ্জাক, সাত্তারের ছেলে আনার, সুকুমার ঘোষের ছেলে লিটন ঘোষ, মুজাম আলীর ছেলে আবুল হোসেন, হামিদের ছেলে কাশেম, মকছেদের ছেলে কামরুল, জামালের ছেলে আমিনুর, নুর আলীর ছেলে আলীম, আজিবরের ছেলে জসিম, গোবিন্দর ছেলে সাধু, মোহাম্মদের ছেলে করিম, সাধুর ছেলে সুমন, নিরাপদ ঘোষের ছেলে অজিত ঘোষ, দক্ষিণ লাউড়ী গ্রামের বদীনাথ ঘোষের ছেলে দীপক, সুন্দলপুর গ্রামের আব্দুলের ছেলে শাহিন, জনাব আলীর ছেলে আহাদ আলী, মাঝ লাউড়ী গ্রামের মোসলেমের ছেলে ইমরান, মান্নানের দুই ছেলে আসাদ, তৌহিদ, ঘুঘুরাইল গ্রামের খালেকের ছেলে মুকুল, কাশিপুর গ্রামের হাসান বারীর ছেলে ফয়সাল, খোদা বক্সের ছেলে ইউনুস আলী, গরীবপুর গ্রামের শফি কামালের দুছেলে জুয়েল ও সেলিম, আরশাদের ছেলে ইউছুফ আলী, আরশাদ আলীর দুই ছেলে হাসেম আলী, নুর আলী, কাশিপুর গ্রামের গিনিনের ছেলে অরবিন্দ, তোফাজ্জেলের ছেলে আশিকুর রহমান, আহম্মদ আলীর ছেলে ফারুক হোসেন, ডাঙ্গা মাছনা গ্রামের জামাল গাজীল ছেলে মফিজুর রহমান ও হেলাঞ্চি গ্রামের মরহুম আমীর হোসেনের ছেলে আব্দুল অলিম জিন্নাহ।
মন্তব্য করুন