চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০৮:০৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

‘জীবনেও এতো পানি দেখিনি’

বন্যায় আশ্রয় নেওয়া ৬০ এবং ৬২ বছর বয়সী আনোয়ারা ও মনোয়ারা। ছবি : কালবেলা
বন্যায় আশ্রয় নেওয়া ৬০ এবং ৬২ বছর বয়সী আনোয়ারা ও মনোয়ারা। ছবি : কালবেলা

৬০ এবং ৬২ বছর বয়সী আনোয়ারা ও মনোয়ারা দুই বোন। আশ্রয় নিয়েছেন বাতিসা বালিকা বিদ্যালয়ে। হতাশার ছাপ তাদের চোখে-মুখে। বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে তারা দুই বোন বলেন, আমাদের এ বয়সে চৌদ্দগ্রামে বন্যায় এতো পানি হবে তা কল্পনাও করিনি। আমাদের গ্রামে কখনও বন্যা হয়নি। জীবনেও এতো পানি দেখিনি। সিমান্তবর্তী উজানের ঢলে গেল বুধবার রাতে হু হু করে বাড়িতে পানি ঢুকে। ফজরের আজানের পর নাতি-নাতনিদের নিয়ে কোনো রকম আশ্রয়কেন্দ্রে এসে জীবন রক্ষা করি।

তারা আরও বলেন, গত কয়েক দিনে টানা বৃষ্টিপাত হলেও গত বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত টানা বৃষ্টি সঙ্গে বজ্র ও দমকা হাওয়ার সঙ্গে পানি বেড়ে যায়। ঘর বাড়ি ভেসে যায়। আমার গ্রাম সোনাপুর অত্যন্ত উঁচু গ্রাম, তার পরেও এতো পানি তা কল্পনাও করতে পারিনি। উপায়ান্তর না দেখে বৃহস্পতিবার ভোরে পরিবারের ৫ সদস্য নিয়ে এক কাপড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে এসে পৌঁছেছি। এখনও বাড়িতে পানি। কবে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়িতে ফিরবো তা জানি না। কী হবে সোনার সংসারের।

শনিবার (২৪ আগস্ট) কথা হয় আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা অপর বিধবা নারী সোনাপুর গ্রামের ফিরোজা বেগম সঙ্গে। তিনি বলেন, বুধবার রাতটি ছিল আমাদের জন্য বিভীষিকাময় রাত। রাত যতই গভীর হচ্ছিল ভারি বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতও হচ্ছিল। পানিও হু হু করে বেড়ে চলছে। মনে করেছিলাম সেই রাতই শেষ রাত। আল্লাহ দয়া করছে বলে এখনও বেঁচে আছি। পরদিন বৃহস্পতিবার কলার ভেলায় করে বাতিসা আশ্রয়কেন্দ্রে এসে আশ্রয় নিয়েছি। ঘরবাড়ির অবস্থা এখন কেমন তাও জানি না।

আনোয়ারা, মনোয়ারা ও ফিরোজার মতো এক হাজারেরও অধিক পরিবার বানভাসি হয়ে আশ্রয় নিয়েছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাতিসা ইউনিয়নের বাতিসা গার্লস স্কুলে। অনেকে তাদের ফেলে আসা বাড়িঘর নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। পানি কবে নামবে তা তারা জানেন না। এক কাপড়ে আশ্রয় নিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। বেঁচে আছেন এতেই তারা আল্লাহর কাছে জানাচ্ছেন শুকরিয়া।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাপানে সুনামির সব সতর্কতা প্রত্যাহার

ফ্ল্যাটে ঢুকে সাংবাদিককে পুলিশ কনস্টেবলের হাতুড়ি পেটা

জানা গেল আর্জেন্টিনার ফুটবলারকে লাথি মারা সেই ফুটবলারের পরিচয়

হামজাকে দলে পেতে মরিয়া বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাব

খালেদা জিয়ার সুস্থতাই দেশবাসীর কামনা: টুকু

ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ থেকে ৪ বাংলাদেশি নাবিক উদ্ধার

নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মশিউর রহমান মারা গেছেন

মাহফিলে বয়ানরত অবস্থায় বক্তার মৃত্যু

বিশ্বরেকর্ড গড়ার প্রত্যয়ে বিজয় দিবসে পতাকাসহ ঝাঁপ দেবেন ৫৪ প্যারাট্রুপার

আগামী জাতীয় নির্বাচন / বৃহত্তর সুন্নী জোটের সাথে একীভূত হচ্ছে প্রগতিশীল ইসলামী জোট

১০

সড়ক দুর্ঘটনায় স্লিপার বাস, নিহত ১

১১

রেল ইঞ্জিন রক্ষণাবেক্ষণ প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশ যাচ্ছেন রেলের ১২ কর্মী

১২

ঢাকা–১৯ আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মুহিউদ্দীন রাব্বানীর শোডাউন

১৩

তাপমাত্রা কমবে না বাড়বে, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৪

৩ লাল কার্ডের ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাতে ব্যর্থ আর্জেন্টিনার ক্লাব

১৫

৮ পরিকল্পনা ঘোষণা তারেক রহমানের

১৬

দলীয় প্রার্থীদের বিষয়ে নেতাকর্মীদের প্রতি তারেক রহমানের বার্তা

১৭

আলোকিত সমাজ গড়তে শিক্ষকদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই: মাসুদ সাঈদী

১৮

মওলানা ভাসানী সেতু সড়কে ‘লাল নিশান’

১৯

চবি শিক্ষার্থীকে উদ্ধার ও নিরাপত্তা জোরদারের দাবিতে মানববন্ধন

২০
X