পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু হয়েছে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১২টা থেকে পুরোদমে যাত্রী পারাপার চলছে।
এর আগে, রোববার বিকেলে বিশেষ বিবেচনায় সীমিত পরিসরে যাত্রী পারাপার করা হয়।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে সৃষ্টি হওয়া বন্যার পানিতে ইমিগ্রেশন ভবনে তলিয়ে যায়। এতে করে ইমিগ্রেশন সার্ভার ও কম্পিউটার লাইনে পানি প্রবেশ করে। বন্যার পানি কমে গেলে লাইন চালু করতে গেলে সার্ভার সমস্যা দেখা দেয়।
পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে ঢাকা থেকে আইটি এক্সপার্ট টিম এসে সার্ভার পুরোপুরি চালু করলে আজ থেকে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশি যাত্রীরা ফিরতে শুরু করছে। এ সময় ভারতে আটকে পরা যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, ইমিগ্রেশন বন্ধ থাকার কারণে ওপারে হাজার হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী আটকে পড়েছে। যার জন্য আটকে পড়া মানুষদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
এ সময় ভারত থেকে ফেরত আসা আখাউড়া পৌর শহরের বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম প্রকাশ বলেন, ভ্রমণ ভিসা নিয়ে ভারতের আগরতলা ঘুরতে গিয়েছিলাম, যাওয়ার পর থেকে বৃষ্টি ও বন্যার কারণে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুই দিনের জায়গায় পাঁচ দিন থাকার কারণে আমাদের অনেক আর্থিক ও মানুষিকভাবে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। মো. স্বপন নামে আরেকজন বলেন, গত ২০ আগস্ট আমি ভারতের আগরতলায় প্রবেশ করি, যাওয়ার পরদিন জানতে পারলাম বৃষ্টি ও বন্যার কারণে আখাউড়া ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে করে আমি ওখানে আটকে পড়ি। আমি যে টাকা নিয়ে গিয়েছিলাম সেই টাকা শেষ হয়ে যায়। আমাকে এই কয়েকদিন ওপারে অনেক কষ্ট করে না খেয়ে থাকতে হয়েছে। আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খাইরুল আলম বলেন, অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বন্যার পানিতে ইমিগ্রেশন ভবন তলিয়ে যায়। যার কারণে গত ২১ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
পরে বন্যার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কম্পিউটার ও সার্ভার লাইনগুলো পরীক্ষা করা হয়। এতে সমস্যা দেখা দিলে ঢাকা থেকে আইটি এক্সপার্ট টিম এসে সমাধান করলে দুপুর থেকে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।
মন্তব্য করুন