লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকার চেষ্টার অভিযোগ ধামাচাপা, ৭ দিন পর ফাঁস

অভিযুক্ত শিক্ষক খায়রুল আলম ওরফে সোহেল রানা। ছবি : সংগৃহীত
অভিযুক্ত শিক্ষক খায়রুল আলম ওরফে সোহেল রানা। ছবি : সংগৃহীত

দশ বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। লালমনিরহাট সদরের পশ্চিম হাড়িঙ্গা এলাকার দারুল উলুম বাবুস সালাম মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটলেও সাত দিন পর শনিবার দুপুরে তা লোকমুখে প্রকাশ পায়।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম খায়রুল আলম ওরফে সোহেল রানা। তিনি ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।

অভিযোগ উঠেছে, মাদ্রাসা কমিটিসহ মাদ্রাসার মোহতামিম জুবায়ের হোসেন সাদ্দাম ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়াসহ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবাকে ডেকে এনে কৌশলে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন এবং ভয়ভীতি দেখান যেন কোথাও কোনো অভিযোগ না করেন। পরে ঘটনার সাত দিন পর শনিবার লোকমুখে তা প্রকাশ পায়।

এদিকে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়দের তোপের মুখে মাদ্রাসা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কমিটি।

ভুক্তভোগী ছাত্রের বাবা বলেন, আমার ছেলেকে কোরআনে হাফেজ করার উদ্দেশ্যে গত একমাস আগে দারুল উলুম বাবুস সালাম মাদ্রাসায় নাজেরা বিভাগে ভর্তি করাই। মাদ্রাসার বোর্ডিংয়ে থেকে লেখাপড়া করত সে। গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে অভিযুক্ত শিক্ষক খায়রুল আলম ভুক্তভোগী নাবালক শিক্ষার্থীর পাশে শুয়ে উলঙ্গ করে বলাৎকারের চেষ্টা করেন। এ সময় ভয় পেয়ে শিশুটি চিৎকার করে। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে ভোরের আলো না ফুটতেই অভিযুক্ত শিক্ষক পালিয়ে যান।

ভুক্তভোগীর বাবা ও তার দাদি আরও জানান, এ ঘটনার ব্যাপারে মাদ্রাসার মোহতামিম জুবায়ের হোসেন সাদ্দামকে মৌখিকভাবে জানানো হলে তারা গত সাত দিন থেকে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। বিষয়টি নিয়ে সত্যতা যাচাই করার কথা বলে আমাদের মাদ্রাসায় ডেকে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। এ সময় মোহতামিম জুবায়ের হোসেন মাদ্রাসাছাত্রের ডিএনএ টেস্ট করার কথা বলেও ভয় দেখান বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর দাদি।

ওই মাদ্রাসার এক অভিভাবক বলেন, ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষক খায়রুল আলম ওরফে সোহেল রানাকে মাদ্রাসায় পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে ওই মাদ্রাসার মোহতামিম জুবায়ের হোসেন সাদ্দাম ঘটনাটি মিথ্যা দাবি করে বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক কোরআন শরিফ হাতে নিয়ে বলেছেন, আমি এ কাজে জড়িত নই। পরে অভিযোগকারীর সঙ্গে মীমাংসা হয়েছে এবং তারা সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিয়েছেন বলে জানান মোহতামিম জুবায়ের হোসেন। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, এর আগেও অন্য এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ উঠে এলে আমরা সেই শিক্ষককে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করি। বারবার একই মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের ঘটনা কেন ঘটে? এমন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। লালমনিরহাট সদর থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, এমন ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত নজরুল / ‘যদি ফোন বন্ধ থাকে, ধরে নিও আমি বেঁচে নেই’

টাইফয়েড টিকা নিয়ে জরুরি ৫ প্রশ্নের সমাধান

টি ব্যাগ দিয়ে তৈরি চা কি শরীরের জন্য নিরাপদ? কি বলছেন পুষ্টিবিদ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অভিযুক্তদের দায়মুক্তি নিয়ে যা বললেন আসিফ নজরুল 

দেশের এমবিবিএস শিক্ষায় সাইকিয়াট্রির গুরুত্ব কেন এত কম

ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি কেন, প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের

খাওয়া-দাওয়া কি সত্যিই সন্তান ধারণে প্রভাব ফেলে, কি বলছে গবেষণা

কলকাতায় মেসির সঙ্গে আসছেন নেইমার!

হলি রোজারি চার্চে বোমা হামলার ঘটনায় খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের নিন্দা 

নামাজ আদায় না করলে অন্য আমলগুলো কবুল হবে কি?

১০

দেশের সব বিমানবন্দরের জন্য জরুরি ১০ নির্দেশনা

১১

জনগণ আর কোনো স্বৈরাচারী সরকারকে দেখতে চায় না : আমান

১২

৪৯তম বিসিএসের প্রশ্নে শহীদ আবু সাঈদ, আলোচিত ‘আয়নাঘর’

১৩

যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর গাজায় আবারও ইসরায়েলি হামলা

১৪

জেহাদ স্মৃতিস্তম্ভে ছাত্রদলের শ্রদ্ধা

১৫

গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণ, সাতজন দগ্ধ

১৬

কোমর ব্যথা কমাতে ফিজিওথেরাপি

১৭

জুলাই সনদকে ইতিবাচকভাবে দেখছে বিএনপি : রিজভী

১৮

শান্তিতে নোবেল পাওয়া মাচাদোর রাজনৈতিক ইতিহাস

১৯

যে কারণে শান্তিতে নোবেল পেলেন মারিয়া

২০
X