রাজশাহীর পুঠিয়ায় সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদের মহড়ায় হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় মিনি ট্রাক, মাইক্রোবাস ও পাঁচ-ছয়টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয় এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মহড়ায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা।
সোমবার (৩১ জুলাই) রাতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের ঝলমলিয়া ডাকবাংলো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঝলমলিয়া বাজার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার ওসি ফারুক হোসেন বলেন, শুনেছি, মহড়ায় দু’জন আহত হয়েছেন। তবে হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাঈদ হোসেন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সোমবার রাত ৮টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদের লোকজন মিনি ট্রাক, মাইক্রোবাস ও শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে বেলপুকুর থেকে ঝলমলিয়া এলাকায় আসে। ডাকবাংলো এলাকায় আসামাত্র আগে থেকে অবস্থান নেওয়া একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই বহরে হামলা চালায়। এতে মহড়ায় অংশ নেওয়া কয়েকজন আহত হন। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এদের মধ্যে হিমেল নামের একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, হামলাকারীরা একটি মিনি ট্রাক, একটি মাইক্রোবাস ও পাঁচ-ছয়টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ বলেন, মহড়ায় কয়েকটি গাড়ি পেছনে পড়ে যায়। আর ওই গাড়িগুলো ঝলমলিয়া এলাকায় আসামাত্র একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে অনেক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আহতদের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত সময় গেছে। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই ঝলমলিয়া হাট ইজারদার ও সাবেক সেনাসদস্য নাজমুল ইসলাম সুমনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন আহত সুমনের বাবা বাদী হয়ে থানায় ২০ জনের নামে একটি মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদকে। সম্প্রতি ওই মামলা থেকে সাময়িক জামিন দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাতে তিনি দলের নেতাকর্মীদের মহড়ার মাধ্যমে এলাকায় আসেন।
মন্তব্য করুন