শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
রংপুর ব্যুরো
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১১ এএম
আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

আবু সাঈদ হত্যায় গ্রেপ্তার দুই পুলিশ ৪ দিনের রিমান্ডে

দুই পুলিশ সদস্যকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি : কালবেলা
দুই পুলিশ সদস্যকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি : কালবেলা

ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তারা হলেন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আমীর আলী ও সুজন চন্দ্র রায়।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) আবু সাঈদ হত্যায় সংশ্লিষ্টতা থাকায় দুই পুলিশ সদস্যের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পিবিআই রংপুর।

শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-২ এর বিচারক আসাদুজ্জামান তাদের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই রংপুরের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন।

এর আগে সোমবার দুজনকে গ্রেপ্তার করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তাদের পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সোমবার সন্ধ্যায় পিবিআই পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন বলেন, এই দুই সদস্য আগে থেকে পুলিশ লাইনে নজরদারিতে ছিলেন। তাদেরকে গ্রেপ্তার করে মেট্রোপলিটন পুলিশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে।

এদিকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কতৃক পাঠানো বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বাদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় গত ১৯ আগস্ট মামলা হয়। এই মামলায় আসামি এএসআই মো. আমীর হোসেন এবং কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার রিকুইজিশনের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া এএসআই আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে গত ৩ আগস্ট বরখাস্ত করা হয়েছিল।

গত ১৬ জুলাই দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদ নিহত হন। এ ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাজহাট আমলি আদালতে আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষকসহ ১৬ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচিত হলে সব চাঁদাবাজি ও অনিয়ম দূর করব : আবদুল আউয়াল মিন্টু

আমি জনগণের শাসক নয়, সেবক হতে চাই : খন্দকার আবু আশফাক

১৯ দেশের অভিবাসীদের গ্রিন কার্ড আবার যাচাই করবে যুক্তরাষ্ট্র

মাদক চোরাচালান চক্রের মূলহোতাসহ ২ সহযোগী গ্রেপ্তার

বিএনপিতে কোনো ভেদাভেদ নেই : মিনু

গুগলকে কনটেন্ট সরাতে অনুরোধের সংখ্যা নিয়ে সরকারের ব্যাখ্যা

অগ্রগতি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের রাজনীতি করে বিএনপি : শিমুল বিশ্বাস

বগুড়ায় খালেদা জিয়ার নির্বাচন পরিচালনায় ১১ সদস্যের কমিটি

নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশে কোনো সংস্কারই বাস্তবায়ন সম্ভব নয় : ইশরাক 

আ.লীগ হিন্দু সম্প্রদায়ের আবেগ নিয়ে রাজনীতি করেছে : আমান

১০

তারেক রহমানের নেতৃত্বে হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে : নজরুল ইসলাম

১১

আন্দোলনরত ৮ দলের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত

১২

নারীসহ দুজনকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও প্রচার, চাঁদা দাবি

১৩

পুলিশকে কামড়ে পালানো সেই ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

১৪

ভূমিকম্পে ঢাকায় কোন এলাকা নিরাপদ, ‘ব্লাইন্ড ফল্ট’ কোথায়

১৫

চার বছর পর ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার পিএস মাহসুদ

১৬

ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর হামলা

১৭

চাঁদপুরের বাণিজ্য সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

১৮

পুলিশ আগে আমাকে গ্রেপ্তার করত, এখন স্যালুট দেয় : শাহজাহান চৌধুরী

১৯

সমাধান ছাড়াই শেষ হলো ববি ও বিএম কলেজের আলোচনা

২০
X