রংপুর ব্যুরো
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১১ এএম
আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

আবু সাঈদ হত্যায় গ্রেপ্তার দুই পুলিশ ৪ দিনের রিমান্ডে

দুই পুলিশ সদস্যকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি : কালবেলা
দুই পুলিশ সদস্যকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি : কালবেলা

ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তারা হলেন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আমীর আলী ও সুজন চন্দ্র রায়।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) আবু সাঈদ হত্যায় সংশ্লিষ্টতা থাকায় দুই পুলিশ সদস্যের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পিবিআই রংপুর।

শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-২ এর বিচারক আসাদুজ্জামান তাদের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই রংপুরের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন।

এর আগে সোমবার দুজনকে গ্রেপ্তার করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তাদের পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সোমবার সন্ধ্যায় পিবিআই পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন বলেন, এই দুই সদস্য আগে থেকে পুলিশ লাইনে নজরদারিতে ছিলেন। তাদেরকে গ্রেপ্তার করে মেট্রোপলিটন পুলিশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে।

এদিকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কতৃক পাঠানো বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বাদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় গত ১৯ আগস্ট মামলা হয়। এই মামলায় আসামি এএসআই মো. আমীর হোসেন এবং কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার রিকুইজিশনের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া এএসআই আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে গত ৩ আগস্ট বরখাস্ত করা হয়েছিল।

গত ১৬ জুলাই দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদ নিহত হন। এ ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাজহাট আমলি আদালতে আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষকসহ ১৬ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

উৎপাদন বাড়াতে ৫০০ কৃষক পেলেন বোরো ধানবীজ

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স / কমছে রোগীর সংখ্যা, বন্ধ সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার

কনকনে শীতে বিপাকে পঞ্চগড়ের মানুষ, তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি

শীত নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস

১২ ডিসেম্বর : নামাজের সময়সূচি

১২ ডিসেম্বর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম কি স্বাভাবিক হল?

‘তারুণ্যের শক্তিই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র রুখে দেবে’

১০

তেঁতুলিয়া সীমান্তে নারীসহ আটক ৫ বাংলাদেশি

১১

কাজ করছে না ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম

১২

ভাসানী এক মহীরুহের অগ্নিক্ষরা সংগ্রামী জীবন : বাংলাদেশ ন্যাপ

১৩

ট্রাকচাপায় নিহত ২ মোটরসাইকেল আরোহী

১৪

নির্বাচনের আগে দুটি বিষয়ের সমাধান চান জামায়াত আমির

১৫

আসিফ নজরুলকে ‘র’ এজেন্ট বলায় আসিফ মাহমুদের প্রতিক্রিয়া

১৬

আপনাদের স্বার্থ নিয়ে থাকেন, ভারতকে মো. শাহজাহান

১৭

শিশুকে ‘ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষককেও’ পিটিয়ে মারলেন এলাকাবাসী

১৮

বিশ্বমানের শিক্ষার সুযোগ দিচ্ছে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি

১৯

নওগাঁয় খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ

২০
X