কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পানি কমলেও বাড়ছে ভাঙন আতঙ্ক, দুশ্চিন্তায় তিস্তা পাড়ের মানুষ

রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তার পানি কমলেও বাড়ছে ভাঙন আতঙ্ক। ছবি : কালবেলা
রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তার পানি কমলেও বাড়ছে ভাঙন আতঙ্ক। ছবি : কালবেলা

অসময়ে ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও এখন কমতে শুরু করেছে। আকস্মিকভাবে পানি বৃদ্ধি ও কমার ফলে কিছু কিছু জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এভাবে প্রতি বছর আমাদের ফসলি জমি নদীর পেটে চলে যাচ্ছে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নর বিশ্বনাথ গ্রামের বাসিন্দা ফজিলা খাতুন ও বেল্লাল মিয়া।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় কাউনিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহের উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ এই পয়েন্টে বিপৎসীমার দশমিক ১১ সেন্টিমিটার (বিপৎসীমা ২৯ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

উজানের পাহাড়ি ঢল আর কয়েকদিনের টানা ভারি বৃষ্টিতে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে কাউনিয়ায় পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে পানি কমতে শুরু করলেও নতুন করে নদী ভাঙনের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এ অস্থায় দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা।

সেই দুশ্চিন্তার ভাঁজ নিয়ে বেল্লাল মিয়া বলেন, এবারও ফসল চলে যাবে নদীর পেটে। এ নিয়ে চিন্তায় আছি। এরইমধ্যে আমাদের গ্রামের ১৫ থেকে ২০টি বাড়ি স্থানান্তর করা হয়েছে। এখনই যদি ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তাহলে ১০০ থেকে ১৫০টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। তাই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে নদীভাঙন রোধে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এর আগে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করে। শনিবার রাত ১১টার দিকে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার দশমিক ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একই সময়ে কাউনিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে।

এর ফলে ফলে তিস্তার চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েন। ডুবে যায় কৃষকের ফসল; ভেসে যায় পুকুরের মাছ।

চর ঢুসমাড়া এলাকার বাসিন্দা কাইয়ুম বলেন, শুক্রবার থেকে হঠাৎ উজানের পানি আসতে থাকে। ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধি পায়। শনিবার রাত থেকে পানি হু-হু করে বাড়ে। তবে এখন কমতে শুরু করেছে।

ডালিয়া বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপপ্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন বলেন, উজানের ঢল আর বর্ষণে তিস্তায় পানির প্রবাহ বেড়েছিল। তখন পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও বর্তমানে কমতে শুরু করেছে। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিল ভারত সরকার

ইমিগ্রেশনের সময় যে ৭ কথা বললেই মহাবিপদ

সাগর-রুনির সন্তান মেঘের হাতে পূর্বাচলের প্লটের দলিল হস্তান্তর

৮ মামলায় ইমরান খানের জামিন

মাদ্রাসাপ্রধানদের জন্য অধিদপ্তরের জরুরি নির্দেশনা, না মানলে ব্যবস্থা

বরাদ্দ পেল বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

স্থিতিশীল অর্থনীতির জন্য গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ীদের

কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

যে বয়সের আগেই শিশুকে ৮ শিক্ষা দেওয়া জরুরি

দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ‘চাঁদাবাজ’ আখ্যা প্রধান শিক্ষকের, তদন্তে কমিটি

১০

চট্টগ্রাম-৩ আসনে ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী মিল্টন ভুঁইয়া

১১

বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা নিয়ে ‘সুখবর’ পাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা

১২

ফেসবুক পেজ জনপ্রিয় করার ৮ কৌশল

১৩

বাড়ির আঙিনায় বিষধর পদ্মগোখরা, অতঃপর...

১৪

মোবাইল দিয়েই ডিএসএলআর ক্যামেরার মতো ছবি তোলার ৫ কৌশল

১৫

বরইতলা নদীর ‘বাঁধ’ এখন মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতর

১৬

ইস্পাত খাতে বিশেষ তহবিল চান ব্যবসায়ীরা

১৭

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আগ্রহী পাকিস্তান

১৮

উপকূলজুড়ে টানা বৃষ্টিপাত, জনজীবনে দুর্ভোগ

১৯

উমামা-সাদীর নেতৃত্বে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা

২০
X