জামালপুরের মেলান্দহে যুবলীগ নেতা মুজিবুল হাসান শামীম হাজারীর বাড়িতে স্ত্রীর অধিকার পেতে অনশনে বসেছেন সুমনা শেখ (২৭) নামের এক নারী। সোমবার (১২ জুন) দুপুর থেকে উপজেলার হাজরাবাড়ী বাজার এলাকায় ওই যুবলীগ নেতার বাড়িতে অনশনে বসেন তিনি।
মুজিবুল হাসান শামীম হাজারী পৌর যুবলীগের সহসভাপতি এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ময়েন হাজারীর ছেলে। আর অনশনে থাকা ওই নারী হাজরাবাড়ী পৌরসভার ঢালুয়াবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা।
ওই নারী কালবেলাকে বলেন, প্রায় এক বছর আগে শামীম হাজারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে ঢাকায় নিয়ে এক মসজিদের ইমামের মাধ্যমে বিয়ে করে। বিয়ের পর জামালপুর পৌরসভার নতুন হাই স্কুল মোড়ে একটি ভাড়া বাসায় দীর্ঘদিন আমরা একসঙ্গে থাকি। মাঝেমধ্যে শামীম হাজারী এসে আমার ভাড়া বাসায় থাকতেন। আমার এর আগে বিয়ে হয়েছিল। শামীম হাজারীর কথায় আমি আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে চলে এসেছি। একপর্যায়ে আমি কাবিন করার জন্য তাকে চাপ প্রয়োগ করলে তিনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তাকে না পেয়ে শামীম হাজারীর বাড়িতে যাই। গিয়ে দেখি তার ঘর তালাবদ্ধ। আমার আসার খবর পেয়ে তারা সবাই পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, আমি সোমবার দুপুর ১২টার দিকে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে তাদের বাসায় এলে তার চাচাতো বোন হ্যাপি ও সেতু গিয়ে আমাকে তিনতলা থেকে টেনেহিঁচড়ে বাসা থেকে বের করে দেয়। একপর্যায়ে আমাকে মারধরও করে। শামীম হাজারী যদি এখন আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা না দেয়, তাহলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া কোনো পথ থাকবে না।
অভিযোগ প্রসঙ্গে শামীম হাজারী বলেন, এই মেয়ের আগে দুটি বিয়ে হয়েছিল। তার চাচাতো ভাই শেখ রানা আমার দোকান ঘর ভাড়া চেয়েছিল। আমি দিইনি। এ জন্য আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যেই এসব রটনা হচ্ছে।
হাজরাবাড়ী পৌর যুবলীগের সভাপতি রোহান শাহ রেজা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি অবহিত হয়েছি। শামীম হাজারী যেহেতু পৌর যুবলীগের সহসভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন, যদি তিনি কোনো অনৈতিক কাজে জড়িত থাকেন এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মেলান্দহ থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন কালবেলাকে বলেন, সুমনা শেখ নামের এক নারী অনশনে বসেছেন। তিনি আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার চেষ্টা করছেন। স্বীকৃতি না পেলে ওই নারী সদর থানায় মামলা দায়ের করবেন বলেও মৌখিকভাবে জানিয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন