আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৭ পিএম
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নির্মাণের ১০ মাসেই সাড়ে ৮ কোটি টাকার সড়ক বেহাল

মানিকঝুড়ি থেকে কচুপাত্রা পর্যন্ত সড়কের বেহাল অবস্থা। ছবি : কালবেলা
মানিকঝুড়ি থেকে কচুপাত্রা পর্যন্ত সড়কের বেহাল অবস্থা। ছবি : কালবেলা

বরগুনার আমতলী-তালতলী ও ফকিরহাট পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার উপকূলীয় আঞ্চলিক সড়ক। তিন প্যাকেজে ৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকায় সড়কটি কার্পেটিং করে স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডি)। কিন্তু নির্মাণের ১০ মাসের মধ্যেই সড়কটির বিভিন্ন স্থানে পিচ উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নির্মাণের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ফলে কার্যাদেশ অনুসারে কাজ না করে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় সড়কের এ অবস্থা হয়েছে।

তাকে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক পুনরায় মেরামতের জন্য এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে বারবার চিঠি দিলেও তাতে কোনো সাড়া দিচ্ছে না। এতে আঞ্চলিক সড়কটি দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের কোনো উপকারে আসছে না। তারা চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছে।

জানা গেছে, বরগুনার আমতলী-তালতলী ও ফকিরহাট পর্যন্ত উপকূলীয় আঞ্চলিক সড়কের দৈর্ঘ ৪০ কিলোমিটার। ২০২১ সালের অক্টোবরে ৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বরাদ্দে মানিকঝুড়ি থেকে কচুপাত্রা সেতু পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৮ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের জন্য তিনটি প্যাকেজে দরপত্র আহ্বান করে এলজিইডি। ওই সড়ক নির্মাণের কাজ পান বরগুনার ঠিকাদার মো. সগির হোসেন। দুই প্যাকেজ ২০২২ সালের শেষের দিকে কাজ শেষ করেন। সর্বশেষ প্যাকেজ তারিকাটা থেকে কচুপাত্রা সড়কের কাজ গত বছর ডিসেম্বর মাসে শুরু করেন ঠিকাদার।

স্থানয়ীরা আরও বলেন, নিম্নমানের কাজ করলেও তৎকালীন আমতলী এলজিইডি প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। দায়সারা কাজ করে ঠিকাদার সগির হোসেন পুরো টাকা তুলে নেন। সড়ক নির্মাণের ১০ মাসের মাথায় এখন সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। তাই যানবাহন চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।

অভিযোগ বিষয়ে ঠিকাদার মো. সগির হোসেন বলেন, ধারণক্ষমতার চেয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করায় সড়ক ভেঙে গেছে। এতে আমার কী করার আছে? তবে আমাকে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ সড়ক সংস্কারের জন্য চিঠি দিয়েছে। আমি কাজ করে দেওয়ার কথা বলেছি।

তবে এ সড়ক সংস্কারের জন্য আমতলী উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর বারবার ঠিকাদারকে চিঠি দিলেও তিনি তাতে কর্ণপাত করছেন না বলে জানান আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী।

তিনি বলেন, সংস্কারের জন্য ঠিকাদার সগির হোসেনকে কয়েকবার চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তিনি কাজ করছেন না। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাকসু নির্বাচন : ৬ দাবি ছাত্রদলের

পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

সাজেক থেকে ক্যাম্পাসে ফেরা হলো না খুবি ছাত্রীর

ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ ৩৮ বাংলাদেশির সন্ধান মিলেছে

বিজিবির অভিযানে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার উদ্ধার

এশিয়া কাপে পাকিস্তানি ফিল্ডারের থ্রোয়ে আহত আম্পায়ার

‘ভুল করে মায়ের পাসপোর্ট নিয়ে জেদ্দায় যান পাইলট মুনতাসির’

শাহীনের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সুপার ফোরে পাকিস্তান

সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ

এশিয়া কাপে পাকিস্তান ওপেনারের লজ্জার রেকর্ড

১০

চট্টগ্রামে আ.লীগ কর্মীদের বাসা ভাড়া না দিতে মাইকিং

১১

ভারতে ‘মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা’ সংক্রমণে ১৯ জনের মৃত্যু

১২

বনানীতে দুই শিসা বারে ডিএনসির অভিযান

১৩

বয়কটের হুমকি দিয়েও না করার কারণ জানালেন পিসিবি প্রধান

১৪

কর্মচারী দিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা পরিচালনার অভিযোগ

১৫

শাহীন ঝড়ে বাঁচা-মরার ম্যাচে লড়াকু সংগ্রহ পাকিস্তানের

১৬

‘গোলাপী খালার’ পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

১৭

পরাজিত শক্তির সঙ্গে আঁতাতের রাজনীতি মঙ্গলজনক হবে না: নীরব

১৮

চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সমালোচনার কারণ কী?

১৯

রাকসু নির্বাচন / ভোটকেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় আনাসহ ৭ দফা দাবি ছাত্রশিবিরের

২০
X