চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৬ পিএম
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রামে আমীর খসরু

যারা খেলাধুলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি : কালবেলা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি : কালবেলা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক খেলাধুলা চলছে দেশে। অনেকে আমাকে বলেন, আবার কী শুরু হয়েছে দেশে? স্বৈরাচার চলে গেছে, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, আমাদের কী আবার ইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে? আমি বলেছি, চিন্তার কোনো কারণ নেই। খেলাধুলা যারা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না।

সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের ইনস্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্সে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আলোচনা সভা, পেশাজীবী সমাবেশ ও নবনির্বাচিত মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, তারা বিএনপির শক্তি বুঝতে পারছে না। এই বিএনপি সেই বিএনপি না। এই বিএনপি অনেক শক্তিশালী অবস্থানে, এর শেকড় অনেক গভীরে চলে গেছে। এই বিএনপিকে টলানোর সাধ্য কারও নেই। বিএনপির কয়েকটা সিদ্ধান্ত তো আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন। সুতরাং এরকম সিদ্ধান্ত দিলে এ অবস্থায় যেতে হবে।

তিনি বলেন, বিএনপিকে জোর করে ক্ষমতার বাইরে রাখার তাদের যে ভাবনা ছিল, ওই ওয়ান-ইলেভেনের বিরাজনীতিকরণ, আবার নতুন চিন্তা, নতুন ভাবনা, ক্ষমতার স্বাদ তো কেউ কেউ পেয়েছেন, মনে রাখছেন এ ক্ষমতা ধরে রাখলে মন্দ কী ! কিন্তু এ স্বাদ পাবার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশের মানুষ তার মালিকানা ফিরে পাবার জন্য ১৬ বছর যুদ্ধ করেছে। বিএনপিকে ভাঙার সব ধরনের চেষ্টা হয়েছে। কিছু বাকি নেই, গুম, খুন, মিথ্যা মামলা সব হয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলার চেষ্টার মধ্যেও দেশনেত্রী টলেননি, তারেক রহমান টলেননি, বিএনপির নেতাকর্মীরা কেউ টলেনি। সবার অবস্থান শক্ত।

তিনি আরও বলেন, সাতই নভেম্বর হচ্ছে বাংলাদেশের অনেকটা দ্বিতীয় স্বাধীনতা। স্বাধীনতার যে ভাবনা, যে চিন্তা, যে আকাঙ্খা, সেটা স্বাধীনতার পরে সেদিন পূর্ণ হয়নি। বরং স্বাধীনতার পরে সেটাকে ভুলুন্ঠিত করা হয়েছিল। একদলীয় শাসন, সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়া, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করে দেওয়া, মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা, দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি, জীবনের নিরাপত্তাহীনতা, কালো আইন, এসবের মাধ্যমে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষের গণতন্ত্রের লড়াই ছিল, সেই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়ে তারা একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধের যে আকাঙ্ক্ষা, মুক্তিযুদ্ধের যে ভাবনা, মুক্তিযুদ্ধের যে স্যাক্রিফাইস, সেটা বাংলাদেশের মানুষ আবার নতুনভাবে পেয়েছে, নতুনভাবে গ্রহণ করেছে এবং উজ্জীবীত হয়েছে সাতই নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ

বাসায় ঢুকে মাথায় হাতুড়ির আঘাতে নারীকে হত্যা

শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস উপলক্ষে জামায়াতের কর্মসূচি ঘোষণা

ইউরোপ যাচ্ছে ‘দেলুপি’

বিজয় দিবস ঘিরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে চার স্তরের নিরাপত্তা

বালিতে শুয়ে উষ্ণতা ছড়ালেন মিম

যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস পালনের আহ্বান জামায়াত আমিরের

প্রতারণা এড়াতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পরামর্শ

অ্যাশেজ ছেড়ে আইপিএলের নিলামে থাকবেন ভেট্টোরি

মাকে মারধর করায় ছেলেকে কোমর পর্যন্ত পুঁতে রাখলেন এলাকাবাসী

১০

সীমান্তে বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ মরদেহ ফেরত দিল ভারত

১১

সড়কে প্রাণ গেল অটোরিকশাচালকের, আহত তিন যাত্রী

১২

আকিকা না দিলে কি সন্তানের ওপর বিপদ-আপদ লেগে থাকে? 

১৩

চট্টগ্রামে এক মঞ্চে বসছেন বিশ্বখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা

১৪

সুইফটের বিয়েতে এলাহী আয়োজন

১৫

জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের সব প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক দলগুলো

১৬

ওসমান হাদির সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিতের আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার 

১৭

বাংলাদেশি নাবিকসহ তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ইরান

১৮

জামায়াত নেতাদের সঙ্গে মঙ্গোলিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

১৯

সরকারি খাস জমির মাটি কাটার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

২০
X