সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

মজুরি পরিশোধ না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা

সিলেট চা শ্রমিক ফেডারেশনের সমাবেশ। ছবি : কালবেলা
সিলেট চা শ্রমিক ফেডারেশনের সমাবেশ। ছবি : কালবেলা

অবিলম্বে বকেয়া মজুরি পরিশোধ করে চা বাগানের স্বাভাবিক কর্মপরিবেশ ফিরিয়ে না আনলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের সিলেট জেলার নেতারা।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামের টিকিট কাউন্টারের সামনে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে লাক্কাতুরা, কেওয়াছড়া, দলদলিসহ এনটিসির সকল বাগানের শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধসহ বিভিন্ন দাবিতে সংহতি সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সংগঠনের সিলেট জেলা সভাপতি বীরেন সিংয়ের সভাপতিত্বে ও সদস্য শিপন পালের সঞ্চালনায় সংহতি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাজিয়া চৌধুরী, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল রায়, ৬নং টুকেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সফিকুর রহমান সফিক, সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন সিলেটের সমন্বয়ক আব্দুল করিম কিম, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন রশীদ সোয়েব, সাংবাদিক দেবাশীষ দেবু, চা শ্রমিক অধিকার আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক হৃদেশ মুদি, হিলুয়াছড়া চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি মদন গঞ্জু, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন সিলেট জেলা শাখার সভাপতি মুখলেছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ রুদ্র প্রমুখ।

সমাবেশে নেতারা বলেন, দীর্ঘ ৩ মাস যাবৎ লাক্কাতুরা, কেওয়াছড়া, দলদলিসহ ন্যাশনাল টি কোম্পানির চা শ্রমিকরা মজুরি থেকে বঞ্চিত। মজুরি না পেয়ে চা শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর থেকে অচলাবস্থা শুরু হয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে মানুষ আশা করেছিল বৈষম্যের অবসান হবে, কিন্তু সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার হচ্ছে শ্রমিকরা। গত দুর্গাপূজার সময় থেকে আন্দোলন চলছে, আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বোনাস প্রদান করলেও নিয়মিত মজুরি দেওয়া হচ্ছে না। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান ও নানা প্রতিবাদের মুখে আশ্বাস দেওয়া ছাড়া কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু আশ্বাসে শ্রমিকের পেট চলে না, পরিবারসহ অসহায় হয়ে পড়ছে শ্রমিকরা, দোকানে বাকিও মিলছে না।

সিলেটের নাগরিক সমাজের নেতারা আরও বলেন, সিলেট অঞ্চল চা বাগান অধ্যুষিত, সিলেটের অর্থনীতির জন্য যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া চা বাগানকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্প গড়ে উঠেছে। সারা দেশের মানুষ চা বাগানের সৌন্দর্য দেখতে আসে। এই শিল্প ধ্বংস হলে সিলেটের মানুষও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ জন্য সিলেটের সকল মানুষকে এ আন্দোলনে সামিল হওয়ার জন্য আহ্বানও জানান তারা।

চা শ্রমিক নেতারা তাদের বক্তব্যে বলেন, অবিলম্বে যদি মজুরি পরিশোধ করে বাগান চালু করার উদ্যোগ নেওয়া না হয়, তাহলে সিলেটের ২২ বাগানসহ সকল বাগানে কর্মবিরতিসহ বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজায় হামাসের বন্দুকধারীদের টহল

আগামীর রাষ্ট্রকাঠামোর পূর্ণ রূপরেখা ৩১ দফাতেই রয়েছে : কফিল উদ্দিন 

পরিবেশ রক্ষায় ৮০ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে : টুকু 

ক্ষমতায় এলে ১৮ মাসে এক কোটি কর্মসংস্থান গড়বে বিএনপি : আমিনুল হক

মিসরে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেলেন ট্রাম্প

নেইমারের জন্য এখনও দরজা খোলা রেখেছেন আনচেলত্তি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষ ও প্রফেশনাল কোর্সের সব পরীক্ষা স্থগিত

ইতিহাস গড়ে ফুটবল বিশ্বকাপের টিকিট পেল কেপ ভার্দে

পলিথিনে মোড়ানো শপিং ব্যাগে মিলল নবজাতকের মরদেহ

রোমে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক

১০

কলাবাগানে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

১১

অবশেষে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে গাজা শান্তিচুক্তি সই

১২

জয়পুরহাট জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কের পদত্যাগ

১৩

শরীয়তপুরে নির্যাতিত শিশুর পাশে তারেক রহমান

১৪

‘ড. তোফায়েলের শূন্যতা বহু দশক অনুভূত হবে’

১৫

আওয়ামী লীগ নেত্রী কেকার মরদেহ উদ্ধার

১৬

স্থানীয় সমস্যা সমাধানের আশ্বাস আনোয়ারুজ্জামানের

১৭

পূজা পরিষদ ও মহানগর কমিটির প্রত্যাশা / সংকট সমাধানে এক হয়ে কাজ করার নজির অব্যাহত থাকুক

১৮

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে : পিএনপি

১৯

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় প্রোটিয়াদের কাছে বাংলাদেশের হার

২০
X