রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সেতু তো নয়, যেন মৃত্যু ফাঁদ 

রেলিং ও পাটাতন ভেঙে যাওয়া সেতু। ছবি : কালবেলা
রেলিং ও পাটাতন ভেঙে যাওয়া সেতু। ছবি : কালবেলা

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের রৌহা দক্ষিণপাড়া খালের ওপর নির্মিত সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে রেলিং ও পাটাতন ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ কারণে প্রতিদিনের পথচলা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের জন্য। সেতুর দুরবস্থায় ৫ থেকে ৬ গ্রামের প্রায় ৯ থেকে ১০ হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটির মাঝখানের ঢালাই ভেঙে পড়ায় ভ্যান, মোটরসাইকেল এবং অটোভ্যানচালকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী এবং সাধারণ পথচারীদের জন্য সেতুটি এখন এক বিপজ্জনক পথ।

এলাকাবাসী জানান, কৃষকের ফসল আনা-নেওয়া কিংবা গবাদিপশু পারাপারের সময়ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সম্প্রতি একটি গরু সেতু থেকে পড়ে মারা গেছে। এমনকি কয়েকজন ছাত্র সাইকেল নিয়ে ব্রিজ থেকে পানিতে পড়ে যায়। বৃদ্ধ ও শিশুরা এ সেতু দিয়ে চলাফেরা করতে পারছে না।

হবিবর রহমান, শামসুল হক প্রামানিক, আব্দুল হাই ও ক্বারি মফিজ উদ্দিন জানান, ৩০ বছর আগে নির্মিত সেতুটি এতটাই জরাজীর্ণ যে পিলার থেকে সিমেন্ট খসে পড়েছে। এটি যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। কৃষি পণ্য নিয়ে হাটে যেতে না পারায় কৃষকরাও সংকটে পড়ছেন।

বর্তমান ইউপি সদস্য জিন্নাহ সেখ কালবেলাকে জানান, ‘ব্রিজটি পুনঃনির্মাণের জন্য উপজেলা এলজিইডি অধিদপ্তরের কাছে প্রকল্প প্রস্তাবনা জমা দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী তামান্না রহমান কালবেলাকে বলেন, ‘উপজেলার শতাধিক সেতুর প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। এ সেতুটি প্রস্তাবনায় আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। পরিদর্শনের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্থানীয়দের মতে, অবিলম্বে সেতুটি পুনঃনির্মাণ না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, যা মানুষের জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি করতে পারে। প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেবে বলে তারা আশাবাদী।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ধেয়ে আসছে অতি ভারী বৃষ্টিবলয় ‘স্পিড’, কবে কোথায় প্রভাব ফেলবে

এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিল ভারত সরকার

ইমিগ্রেশনের সময় যে ৭ কথা বললেই মহাবিপদ

সাগর-রুনির সন্তান মেঘের হাতে পূর্বাচলের প্লটের দলিল হস্তান্তর

৮ মামলায় ইমরান খানের জামিন

মাদ্রাসাপ্রধানদের জন্য অধিদপ্তরের জরুরি নির্দেশনা, না মানলে ব্যবস্থা

বরাদ্দ পেল বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

স্থিতিশীল অর্থনীতির জন্য গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ীদের

কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

যে বয়সের আগেই শিশুকে ৮ শিক্ষা দেওয়া জরুরি

১০

দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ‘চাঁদাবাজ’ আখ্যা প্রধান শিক্ষকের, তদন্তে কমিটি

১১

চট্টগ্রাম-৩ আসনে ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী মিল্টন ভুঁইয়া

১২

বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা নিয়ে ‘সুখবর’ পাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা

১৩

ফেসবুক পেজ জনপ্রিয় করার ৮ কৌশল

১৪

বাড়ির আঙিনায় বিষধর পদ্মগোখরা, অতঃপর...

১৫

মোবাইল দিয়েই ডিএসএলআর ক্যামেরার মতো ছবি তোলার ৫ কৌশল

১৬

বরইতলা নদীর ‘বাঁধ’ এখন মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতর

১৭

ইস্পাত খাতে বিশেষ তহবিল চান ব্যবসায়ীরা

১৮

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আগ্রহী পাকিস্তান

১৯

উপকূলজুড়ে টানা বৃষ্টিপাত, জনজীবনে দুর্ভোগ

২০
X