রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আ.লীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাকে হয়রানির অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলনে মো. ইলিয়াছ ও জাহাঙ্গীর আলম। ছবি : কালবেলা
সংবাদ সম্মেলনে মো. ইলিয়াছ ও জাহাঙ্গীর আলম। ছবি : কালবেলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ ইলিয়াস এবং তার ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলম মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রীর দ্বারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন।

এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে ইলিয়াছ ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া তার স্বামীর জায়গা দখলের অভিযোগ করেন। আর পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে মো. ইলিয়াছ ও জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তাদের রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্যই সুপ্রিয়া উদ্দেশ্যেমূলক সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা বক্তব্য তুলে ধরেছেন।

রোববার মো. জাহাঙ্গীর আলম লিখিত বক্তব্যে বলেন, সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়ার আপন শাশুড়ি, ৫ ননদ, চাচাশ্বশুর ও চাচাশ্বশুরের ওয়ারিশদের কাছ থেকে তিনি ক্রয়সূত্রে সাফকবলা দলিলমূলে ২ একর ১৭ শতাংশ ৩৭ পয়েন্ট জায়গার মালিক হয়েছেন। এরপর থেকে ১৪ বছর ধরে ওই জায়গার ভোগদখল করছেন। সেখানে ঘর ও দোকানঘর নির্মাণ করা ছাড়াও পুকুরে মাছ চাষ করছেন এবং সরকারকে নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করছেন। ফলে সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

তারা আরও বলেন, সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া আওয়ামী লীগ শাসনামলে সাবেক আইনমন্ত্রী, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগের নেতাদের দিয়ে কসবা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ ইলিয়াস ও তার পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলা দিয়ে দীর্ঘদিন বাড়িঘর ছাড়া করে রাখেন। সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া গত ৭ আগস্টের পর থেকে আমাদের অত্যাচারে বসতবাড়িতে থাকতে পারেন না বলেও মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন। কারণ তার বসতবাড়ির বিল্ডিং দীর্ঘদিন ধরে সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয় হিসেবে ভাড়া দেওয়া রয়েছে।

মুহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, আমি কসবা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, কসবা সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, কসবা পৌরসভার প্রশাসক ও নির্বাচিত মেয়র ছিলাম। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়ার আপন বড় মামা মো. মোশারফ হোসেন ইকবাল। ১৯৯৭ সালে কসবা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ২০১১ সালের কসবা পৌরসভার মেয়র পদে আমার কাছে বিপুল ভোটে তিনি পরাজিত হন। তারই আক্রোশে এবং আগামী নির্বাচন সামনে রেখে তার আপন বোনের মেয়ে সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়াকে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমাকে সমাজে ও রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে সাংবাদিক সম্মেলন করে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়।

তিনি বলেন, সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া যে জমি নিয়ে অভিযোগ করেছেন তা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া অনুমতি ছাড়া সাংবাদিক সম্মেলনে আমার ছবি দিয়ে ব্যানার করেছেন এবং কুৎসিৎ ভাষায় মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য রেখেছেন। আমি এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক উৎসবমুখর নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় বিএনপি : প্রিন্স

তপশিল ঘোষণার পর জোট বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে : ফারুক

কুমিল্লায় ৩ খুনের নেতৃত্বে ছিলেন চেয়ারম্যান-মেম্বার

চালের দাম নিয়ে সুখবর দিলেন খাদ্য উপদেষ্টা

আন্তর্জাতিক ইসলামি সংগঠনের প্রতিনিধির সঙ্গে ছাত্রশিবিরের সভা

প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন : ধর্ম উপদেষ্টা

বিচার ও সংস্কারকে নির্বাচনের মুখোমুখি না করার আহ্বান সাকির

বিএনপির সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানে হামলা

আবুধাবিতে সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি

ব্লাকমেইল করে সাংবাদিকের কাছে চাঁদা দাবি

১০

বিমানের ডানা থেকে লাফ দিয়ে আহত ১৮

১১

ইবিতে মাস্টার্সে পুনঃভর্তি / ছাত্রদল নেতাদের বিশেষ বিবেচনা, অন্যদের ক্ষেত্রে বঞ্চনা!

১২

তানভীরের ফাইফারে সিরিজে সমতায় ফিরল টাইগাররা

১৩

প্রজাতন্ত্র নির্মাণে নতুন রাজনৈতিক ইশতেহার প্রয়োজন: জেএসডি 

১৪

চসিক মেয়রের সঙ্গে কানাডার ফেডারেল এমপির বৈঠক

১৫

যে কারণে জোতার শেষকৃত্যে ছিলেন না রোনালদো

১৬

চাঁদাবাজির সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে হামলার শিকার কালবেলার সাংবাদিক

১৭

উল্টোরথে শেষ হলো রথযাত্রার মহোৎসব

১৮

আশুরায় শুধু কারবালার নয়, রয়েছে আরও যত ঘটনা

১৯

ফারিন খানের রহস্যময় পোস্ট, কী চলছে এই অভিনেত্রীর জীবনে?

২০
X