সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

কমলা চাষে বাজিমাত গাইবান্ধার কৃষক মলয়ের

মলয় কুমার লিটনের কমলা বাগান। ছবি : কালবেলা
মলয় কুমার লিটনের কমলা বাগান। ছবি : কালবেলা

সেই ২০১০ সালের দিকে আড়াই বিঘা জমিতে শুধু গোলাপের চাষ করেছিলেন মলয় কুমার লিটন। করোনার সময়ে ফুল বিক্রি না হওয়ায় মাথায় যেন বাজ পড়েছিল তার। ক্ষতি এড়াতে পরে বন্ধুর পরামর্শে ২০১৯ সালে লাগিয়েছিলেন শতাধিক চায়না ও দার্জিলিং কমলা চারা। সেই কমলায় বাজিমাত করেছেন তিনি। ফলিয়েছেন ৩০ মণের বেশি মিষ্টি কমলা। ফ্রি খাইয়েছেন দর্শনার্থীদের আর বিক্রিও করেছেন আড়াই লাখ টাকা।

ওই কৃষকের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের প্রত্যন্ত গ্রাম পূর্ব ছাপড়হাটিতে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার দক্ষিণ পাশে সারি সারি লাগানো গাছে পাকা টসটসে কমলা ঝুলছে। সেই কমলা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন ছোট-বড় অনেকেই। দেখছেন বাগান ঘুরে ঘুরে। কেউ বা ফ্রি টেস্ট করছেন, আবার কেউ বা দুশ টাকা কেজি দরে কিনছেন ওই কমলা।

দর্শনার্থীরা বলছেন, তারা আগে কমলা খেয়েছেন বটে। কিন্তু একেবারে নাকের ডগায় এভাবে চায়না ও দার্জিলিং কমলার চাষ কখনো দেখেননি। তার ওপর মানও খানিকটা ভালো হওয়ায় বিমোহিত দর্শনার্থীরা।

স্থানীয় অধিবাসী মিজানুর রহমান ভূইয়া বলেন, মলয়ের কমলা ও ফুলের বাগান দেখতে বিভিন্ন জায়গা থেকে ছেলে-মেয়েরা আসে। মলয়ের মতো আরও অনেকেই যদি এমন বাগান করে, তবে এলাকার মানুষ অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।

এ ছাড়ায়ও ফলনে ঘাটতি হয় না বলে কমলা গাছের নিচে দুই হাজার ব্যাগে চাষ করেছেন আদা। ফুল ও ফলের জমিতে সমন্বিত আদার ফলনও যে বাম্পার হতে পারে সেটাই ঘুরে দেখা যায় মলয়ের বাগানে। তার আশা ফলন হতে পারে কমপক্ষে ২ হাজার কেজি। এতে হাতে আসবে তার অন্তত ২ লাখ টাকা।

পশ্চিম ধারে গোলাপের বাগানে ফোটে হরেক রঙের দেশি, বিদেশি ও হাইব্রিড গোলাপ। সে গোলাপ যায় শহরের বিভিন্ন ফুলের দোকানে। আর এই গোলাপ বিক্রিতেই আসে অন্তত দেড় লাখ টাকা।

করোনার সময় গোলাপ চাষে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যশোরের এক বন্ধুর পরামর্শে কমলার বাগান করেছেন বলে জানিয়েছেন সফল কৃষক মলয় কুমার লিটন। তিনি কালবেলাকে বলেন, ২০১৯ সালে শতাধিক চারা লাগিয়েছি। ২০২১ সালে দুই একটি গাছে ৪-৫টি কমলা ধরেছিল। রংও তখন ভালো হয়নি। তবে ২০২৩ সালে ১০-১২ মণ কমলা ধরেছিল। রংও ছিল দারুণ! কিন্তু বিক্রি করিনি। সবাইকে দিয়েছি। এবার অন্তত ৩০ মণ কমলা ধরেছে। দর্শনার্থীরাও খাচ্ছে। আবার তারাই প্রতি কেজি কমলা ২০০ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাশিদুল কবির কালবেলাকে বলেন, ভালো ফলন পেতে কমলা চাষি মলয়কে কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়েছে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজধানীতে বিনামূল্যে জলাতঙ্কের ভ্যাক্সিন প্রদানের ক্যাম্পেইন

থানা থেকে ছাড়িয়ে নেওয়া সমন্বয়ক ফের চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার

ক্ষমতায় যেতে একটি ইসলামী দল ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে : রিজভী

তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপহার বিতরণ

এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত / পাকিস্তানকে খোঁচা দিয়ে মোদির স্ট্যাটাস

আমার সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল, ক্রিকেটার সাকিব ইস্যুতে আসিফ মাহমুদ

রোমাঞ্চকর ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত

ক্রিকেটার সাকিবকে নিয়ে মধ্যরাতে ভিপি সাদিকের স্ট্যাটাস

মধ্যরাতে সাকিবের রহস্যময় পোস্ট

খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সহিংসতা সম্পর্কে সেনাবাহিনীর বিবৃতি

১০

খেলাধুলার মাধ্যমে গুণগত রাজনৈতিক পরিবর্তনের ঘোষণা আমিনুল হকের

১১

প্রবাসীদের ভোটার বানাতে নেতাকর্মীদের কাজ করার নির্দেশ তারেক রহমানের

১২

২২তম বিসিএস ফোরামের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক

১৩

বিসিবি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ইশরাক

১৪

কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বস্তিবাসীর

১৫

চট্টগ্রামে ৪ প্রতিষ্ঠানে ভোক্তার অভিযান, জরিমানা

১৬

দুর্গাপূজায় নিরাপত্তার চাদরে নরসিংদী : পুলিশ সুপার

১৭

বয়স বাড়ছে, দাড়ি পাকা বাড়ছে : রণবীর কাপুর

১৮

অর্থ আত্মসাৎ : অগ্রণী ব্যাংকের এমডি-জিএমসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

১৯

বাবার বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন ববি দেওল

২০
X