সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

কমলা চাষে বাজিমাত গাইবান্ধার কৃষক মলয়ের

মলয় কুমার লিটনের কমলা বাগান। ছবি : কালবেলা
মলয় কুমার লিটনের কমলা বাগান। ছবি : কালবেলা

সেই ২০১০ সালের দিকে আড়াই বিঘা জমিতে শুধু গোলাপের চাষ করেছিলেন মলয় কুমার লিটন। করোনার সময়ে ফুল বিক্রি না হওয়ায় মাথায় যেন বাজ পড়েছিল তার। ক্ষতি এড়াতে পরে বন্ধুর পরামর্শে ২০১৯ সালে লাগিয়েছিলেন শতাধিক চায়না ও দার্জিলিং কমলা চারা। সেই কমলায় বাজিমাত করেছেন তিনি। ফলিয়েছেন ৩০ মণের বেশি মিষ্টি কমলা। ফ্রি খাইয়েছেন দর্শনার্থীদের আর বিক্রিও করেছেন আড়াই লাখ টাকা।

ওই কৃষকের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের প্রত্যন্ত গ্রাম পূর্ব ছাপড়হাটিতে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার দক্ষিণ পাশে সারি সারি লাগানো গাছে পাকা টসটসে কমলা ঝুলছে। সেই কমলা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন ছোট-বড় অনেকেই। দেখছেন বাগান ঘুরে ঘুরে। কেউ বা ফ্রি টেস্ট করছেন, আবার কেউ বা দুশ টাকা কেজি দরে কিনছেন ওই কমলা।

দর্শনার্থীরা বলছেন, তারা আগে কমলা খেয়েছেন বটে। কিন্তু একেবারে নাকের ডগায় এভাবে চায়না ও দার্জিলিং কমলার চাষ কখনো দেখেননি। তার ওপর মানও খানিকটা ভালো হওয়ায় বিমোহিত দর্শনার্থীরা।

স্থানীয় অধিবাসী মিজানুর রহমান ভূইয়া বলেন, মলয়ের কমলা ও ফুলের বাগান দেখতে বিভিন্ন জায়গা থেকে ছেলে-মেয়েরা আসে। মলয়ের মতো আরও অনেকেই যদি এমন বাগান করে, তবে এলাকার মানুষ অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।

এ ছাড়ায়ও ফলনে ঘাটতি হয় না বলে কমলা গাছের নিচে দুই হাজার ব্যাগে চাষ করেছেন আদা। ফুল ও ফলের জমিতে সমন্বিত আদার ফলনও যে বাম্পার হতে পারে সেটাই ঘুরে দেখা যায় মলয়ের বাগানে। তার আশা ফলন হতে পারে কমপক্ষে ২ হাজার কেজি। এতে হাতে আসবে তার অন্তত ২ লাখ টাকা।

পশ্চিম ধারে গোলাপের বাগানে ফোটে হরেক রঙের দেশি, বিদেশি ও হাইব্রিড গোলাপ। সে গোলাপ যায় শহরের বিভিন্ন ফুলের দোকানে। আর এই গোলাপ বিক্রিতেই আসে অন্তত দেড় লাখ টাকা।

করোনার সময় গোলাপ চাষে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যশোরের এক বন্ধুর পরামর্শে কমলার বাগান করেছেন বলে জানিয়েছেন সফল কৃষক মলয় কুমার লিটন। তিনি কালবেলাকে বলেন, ২০১৯ সালে শতাধিক চারা লাগিয়েছি। ২০২১ সালে দুই একটি গাছে ৪-৫টি কমলা ধরেছিল। রংও তখন ভালো হয়নি। তবে ২০২৩ সালে ১০-১২ মণ কমলা ধরেছিল। রংও ছিল দারুণ! কিন্তু বিক্রি করিনি। সবাইকে দিয়েছি। এবার অন্তত ৩০ মণ কমলা ধরেছে। দর্শনার্থীরাও খাচ্ছে। আবার তারাই প্রতি কেজি কমলা ২০০ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাশিদুল কবির কালবেলাকে বলেন, ভালো ফলন পেতে কমলা চাষি মলয়কে কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়েছে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এবার ইরান-ইয়েমেন থেকে যৌথ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হতে পারে

দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ, মামলায় আসামি ১৫৯

ইসরায়েলের হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর গোয়েন্দাপ্রধান নিহত

দাউ দাউ করে জ্বলছে ইসরায়েল

ইসরায়েলের বিমানবন্দরে আঘাত হানল ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র

নেতানিয়াহুর বাসভবন এলাকায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

এবার ইসরায়েলিদের ফিলিস্তিনের অধিকৃত অঞ্চল ছাড়তে বলল ইরান

মুসিয়ালা ম্যাজিক! অকল্যান্ডকে ১০-০তে গুঁড়িয়ে দিল বায়ার্ন

ইসরায়েলিদের পালাতে বলল সেনাবাহিনী

ইরানের হাইপারসনিক ইসরায়েলের হাইফা তেল আবিব ও নেগেভ বিমানঘাঁটিতে আঘাত করেছে

১০

কী কথা বললেন এরদোয়ান-ট্রাম্প?

১১

ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ছাত্রের হাত ভেঙে দিলেন মাদ্রাসা শিক্ষক

১২

কোল্ড স্টোরেজে ভাড়া বৃদ্ধি প্রতিবাদে আলু চাষিদের বিক্ষোভ

১৩

নরসিংদীতে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ৪

১৪

জনগণই বিএনপির মূল শক্তি : খোকন

১৫

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত হবে আন্তর্জাতিক টুরিস্ট স্পট : চসিক মেয়র

১৬

দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ, যুবদল নেতাকে বহিষ্কার

১৭

সিলেট ওসমানী মেডিকেলে কর্মবিরতিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

১৮

‘৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনার পলায়ন বাংলাদেশের বিপ্লবের ইতিহাসের স্বর্ণালী দিন’

১৯

খামেনির ওপর হামলার বিষয়ে যে অবস্থান নিলেন ট্রাম্প

২০
X