খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় ৩৯ বছর আগে সোয়া দুই একর জমির ওপর নির্মাণ করা হয় সাব জেলখানা। কিন্তু আজও কার্যক্রম শুরু হয়নি সেই জেলখানার। আদালতের পাশে নির্মিত উচ্চ প্রাচীরবেষ্টিত ভবনটি পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়।
জানা যায়, খুলনা জেলা সদর থেকে পাইকগাছার দূরত্ব ৬৫ কিলোমিটার এবং কয়রা সদরের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার। জেলা থেকে দূরত্ব বিবেচনা করে পাইকগাছায় জেলখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সে অনুযায়ী ১৯৮৪ সালের ২৯ মে পাইকগাছা সদরের বাতিখালী মৌজায় জমি অধিগ্রহণ করা হয়। সীমানাপ্রাচীর আর ভবন হলেও চলছে যথেচ্ছ ব্যবহার।
দীর্ঘ এই সময়ে সরকারি ভবনটিকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, কিন্তু কোনোটিই আলোর মুখ দেখেনি। বারবার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, একাধিক মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সাব-জেলখানাটি পড়ে আছে পরিত্যক্ত অবস্থাতেই।
২০০৫ সাল থেকে ভবনসহ সরকারের এই সম্পত্তি দেখভাল করছে উপজেলা সমাজসেবা অফিস। জেলখানার জন্য নির্মিত ৩টি কোয়ার্টার, ৪টি বড় কক্ষে বিনা ভাড়ায় স্থানীয় জজ কোর্টের কর্মচারী ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের ১০ থেকে ১২ জন কর্মচারী বসবাস করছেন। যেখান থেকে সরকারের লাখ লাখ টাকা আয়ের সম্ভাবনা থাকলেও আজও এক টাকাও রাজস্ব খাতে জমা হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সরদার আলী আওসান জানান, ভবনটি বর্তমানে পরিত্যক্ত। তারা শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু সাড়া পাননি।
পাইকগাছা থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, জেলখানাটি চালু করা গেলে থানা ও কোর্ট পুলিশের আসামি আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে ভোগান্তি কমবে।
পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম জানান, জেলখানাটি চালু হলে এ অঞ্চলের মানুষ অনেক উপকার হবে। বিশেষ করে পুলিশের কষ্ট কমে যাবে অনেকটাই।
মন্তব্য করুন