ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। মাঘের শীতের প্রকোপ যেন থামছেই না। তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় হু হু করে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। এই অবস্থায় জরুরি প্রয়োজনে ছাড়া কেউই বের হচ্ছে না। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ঠাকুরগাঁও জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে তীব্র শীতে বোরে ধানের বীজতলা, ভুট্টা, টমেটোসহ বিভিন্ন ফসলে কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেকে আবার তীব্র শীতে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আসাদুজ্জামান জানান, শীতের প্রকোপে শিশুদের নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে এবং প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগের আক্রান্ত ব্যক্তির বিভিন্ন সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
আবহাওয়া অফিসের অফিসার ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন কালবেলাকে বলেন, আজ (শুক্রবার) ঠাকুরগাঁও জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েকদিন ধরে ঠাকুরগাঁও জেলায় ঘন কুয়াশা বিরাজ করছে সেই সঙ্গে হিমেল বাতাসের সঙ্গে ঝরছে কুয়াশা বৃষ্টি। তবে আজ থেকে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩ কিলোমিটার।
আর্কাইভ 
| ১৪ অক্টোবর ২০২৫ 
