রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:২১ পিএম
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:২৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা

মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বিএনপির ৪ নেতা কারামুক্ত

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে মুক্তি পাওয়া নেতাদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করা হয়। ছবি : কালবেলা
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে মুক্তি পাওয়া নেতাদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করা হয়। ছবি : কালবেলা

পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বিএনপির ৪ নেতা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার সময় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তারা।

মুক্তি পাওয়া ৪ জন হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র মোখলেসুর রহমান ওরফে বাবলু, পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক কেএম আখতারুজ্জামান, ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক আজিজুর রহমান ওরফে শাহীন এবং বিএনপির স্থানীয় নেতা শামসুল আলম।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতের রায়ে ওই মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ৯ জনসহ ৪৭ আসামির সবাইকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ মামলার ৪ জন ফাঁসির আসামি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে বন্দি ছিলেন। হাইকোর্টের আদেশ কারাগারে পৌঁছানোর পর আজ (মঙ্গলবার) তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ওই নেতাদের মুক্তি উপলক্ষে আজ (মঙ্গলবার) সকাল থেকেই ঈশ্বরদী থেকে গাড়িবহর নিয়ে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে এসে অপেক্ষা করতে থাকেন। নেতাদের মুক্তির কিছুক্ষণ আগে কারাগারের সড়ক সংলগ্ন ফটকটি খুলে দেওয়া হয়। তখন নেতাকর্মীরা কারাগারের সীমানার ভেতরে ঢুকে পড়েন। কারাগারের প্রধান ফটক থেকে ৪ জন বের হলে তাদের গলায় ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত ছিল চারপাশ।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বিরোধীদলীয় নেত্রী থাকাকালে পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে তাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী রেলওয়ে পুলিশ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে তৎকালীন ছাত্রদল নেতা ও ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুসহ ৭ জনকে আসামি করেন। পরের বছর পুলিশ কোনো সাক্ষী না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র জমা দেয়। তখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল।

কিন্তু আদালত সে অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে অধিক তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠান। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মামলাটির পুনঃতদন্ত হয়। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল পুলিশ ঈশ্বরদীর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ ৫২ জনের নামে আদালতে আবার অভিযোগপত্র জমা দেয়। এরপর ২০১৯ সালের ৩ জুলাই রায় দেন পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রুস্তম আলী। রায়ে ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৪৭ আসামির সবাইকে খালাস দেন হাইকোর্ট।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আলোকিত মানুষ তৈরি করছে পাহাড়গাঁও পাঠাগার

মেয়ের জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত

ভারতের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে পাকিস্তানের হিন্দুরা

রূপগঞ্জে কারখানার গ্যাসের লাইজার বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩

‘একদিন কাজ না করলে না খেয়ে থাকতে হবে’

টানা কয়েকদিন সারা দেশে বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস 

ভারতের আগ্রাসী আচরণ আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি : পাকিস্তান

চাকরি দেওয়ার নামে পাঠানো হলো রাশিয়ার যুদ্ধে, খোঁজ নেই নাজিরের

চার বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেলো আরাকান আর্মি

দলে দলে ছাত্রদলে যোগ দিচ্ছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা

১০

শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা  নিশ্চিত করতে হবে: জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম

১১

১৭-তেই কিংবদন্তি হওয়ার পথে ইয়ামাল!

১২

রাজধানীতে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের বিশাল র‍্যালি

১৩

এআইইউবিতে লেট’স টক উইথ দ্য ইইউ অ্যাম্বাসেডর অনুষ্ঠিত

১৪

চট্টগ্রামে পাহাড়ধসে দুই শিশুর মৃত্যু

১৫

রাবির রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

১৬

‘দেশ গড়ার আন্দোলনে শ্রমিকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে’

১৭

খুনির সমর্থকরা ‘সাংবাদিক’ পরিচয় ব্যবহার বাদ দিন : মুশফিক

১৮

‘শ্রমিকদের অমানবিক জীবনের অবসান ঘটাতে দরকার ইসলামের শাসন’ 

১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টর্চলাইট জ্বালিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০

২০
X