মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ছাত্রদের অভিযানে বাড়তি ভাড়া ফেরত পেল যাত্রীরা

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে বাস টার্মিনালে বিশেষ অভিযান চালান ছাত্ররা। ছবি : কালবেলা
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে বাস টার্মিনালে বিশেষ অভিযান চালান ছাত্ররা। ছবি : কালবেলা

যে কোনো উৎসব এলেই বাস সার্ভিস বাড়তি ভাড়া আদায়ে তৎপর হয়ে ওঠে। বাড়তি ভাড়া না গুনলে মেলে না বাসের আসন। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় বাড়ি ফেরা মানুষের।

আর অভিযোগের ভিত্তিতে এই ভোগান্তি দূর করে সাধারণ মানুষের স্বস্তি আনতে টাঙ্গাইলের মধুপুরে আনারস চত্বরের বাস টার্মিনালে চলে বিশেষ অভিযান। এ ঘটনায় টাঙ্গাইলের মধুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের অভিযানে বাড়তি ভাড়া ফেরত পেলেন যাত্রীরা।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ অভিযান চালান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

এর আগে সাপ্তাহিক ও শবেবরাতের ছুটির কারণে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের চাপে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ আসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের কাছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা থেকে যাত্রীসহ ছেড়ে আসা বিভিন্ন বাস মধুপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় থামিয়ে চেক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। সেখানে যাত্রীদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে আদায় করা অতিরিক্ত ভাড়া যাত্রীদের ফেরত দিতে বাধ্য হন বাসচালকরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মধুপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত সোহানুর রহমান, সাইদুর রহমান, মেহেদী হাসান মৃদুল, মো. সবুজ মিয়া, একরামুল খান অনিক, মো. মাজহারুল ইসলাম, জিয়াদ হাসান জিম, টিএ নাইম ও আহত খাইরুল ইসলাম প্রমুখ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম মো. সোহানুর রহমান ও মাজহারুল ইসলাম বলেন, টিকিটপ্রতি নির্ধারিত ভাড়ার ২০০ থেকে ৫০০ টাকা বাড়তি দিতে হচ্ছে যাত্রীদের। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা মধুপুর আনারস চত্বরে অবস্থান নিয়ে এর সত্যতা পাই। পরে সব বাস এক এক করে থামিয়ে আদায় করা অতিরিক্ত ভাড়া যাত্রীদের ফেরত দিতে বাধ্য করি।

জাতীয় নাগরিক কমিটির মধুপুর শাখার সদস্য মো. সবুজ মিয়া জানান, ঢাকা থেকে জামালপুর, মাদারগঞ্জগামী বাসগুলোই বেশি ভাড়া নিচ্ছিল। রাত ৮টা থেকে আমরা মধুপুরে বাস থামাই এবং যাত্রীদের বাড়তি ভাড়া ফেরত দিতে বাধ্য করা হয়। চন্দ্রা থেকে ছেড়ে আসা বাস মধুপুর-ধনবাড়ি বা জামালপুর পর্যন্ত ৫০০-৬০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছিল। দাঁড়ানো যাত্রী ৩০০ টাকা, সিটের যাত্রী ৫০০ টাকা ভাড়া এভাবে নেওয়া হচ্ছিল।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাল্টে গেল বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের সূচি

নুরকে তারেক রহমানের ফোন 

মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই যুবকের

জেলেদের সাগরে ফেলে মাছ নিয়ে গেল জলদস্যুরা

কোনো রাজনৈতিক দল চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকতে পারে না : জিলানী

সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানো নিয়ে নতুন তথ্য

কেওক্রাডং খুলে দেওয়ার বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশ দল নিয়ে বুলবুলকে গম্ভীরের বিশেষ পরামর্শ

আগুনে পুড়ে ছাই বসতঘর, মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে নিঃস্ব শ্যামল

দেশ ত্যাগ করতে পারবেন না নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী

১০

দুবাইয়ের কথা বলে দেশ ছেড়েছিলেন পাকিস্তানে সেনা অভিযানে নিহত তরুণ

১১

আবারও ১২ দিনের কর্মসূচিতে যাচ্ছে ৫টি দল

১২

ইসরায়েলের শীর্ষ গোয়েন্দাকে ফাঁসি দিল ইরান

১৩

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ইংলিশ অলরাউন্ডার

১৪

চীনের বিশেষ ভিসা চালু, যারা আবেদন করতে পারবেন

১৫

বিশ্ব নদী দিবস  / রাজশাহীতে নদী রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

১৬

চট্টগ্রামে যানজট নিরসনে মনোরেল প্রকল্পের ফিল্ড সার্ভে শুরু

১৭

‘ইতিহাসে আপনি যুগের পর যুগ কলঙ্কিত অধ‍্যায় হয়ে থাকবেন’

১৮

এইচএসসির ফল প্রকাশের সময় জানাল বোর্ড

১৯

মাঠ থেকে এবার বোর্ডরুমে এশিয়া কাপের নাটক

২০
X