কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২৫, ১২:০৬ পিএম
আপডেট : ১৫ আগস্ট ২০২৫, ১২:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বর্জ্যপানি বিশ্লেষণ

মেথ, কোকেইন ও হেরোইন ব্যবহারে নতুন রেকর্ড

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ায় মেথঅ্যামফেটামিন, কোকেইন ও হেরোইন সেবনের মাত্রা ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিমিনাল ইন্টেলিজেন্স কমিশনের (এসিআইসি) সর্বশেষ বর্জ্যপানি বিশ্লেষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর আলজাজিরা।

২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় ২২ দশমিক ২ টন মেথঅ্যামফেটামিন, কোকেইন, হেরোইন ও এমডিএমএ (এক্সটেসি) সেবন করা হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় এটি ৩৪ শতাংশ বেশি। কোকেইন সেবন বেড়েছে ৬৯ শতাংশ, এমডিএমএ ৪৯ শতাংশ, মেথ ২১ শতাংশ এবং হেরোইন ১৪ শতাংশ।

এ মাদকগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য ১১ দশমিক ৫ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার (প্রায় ৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। এর মধ্যে শুধু মেথঅ্যামফেটামিনের মূল্যই প্রায় ৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার, যা মোটের ৭৮ শতাংশ।

বর্জ্যপানি বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে রাজধানী ও আঞ্চলিক শহরের ৫৭ শতাংশ এলাকার তথ্য সংগ্রহ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় অপরাধচক্র দ্রুত তাদের কার্যক্রম পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণ করেছে।

এসিআইসি প্রধান হিদার কুক জানান, মেথ সেবনের পরিমাণ ১২ দশমিক ৮ টনে পৌঁছেছে, যা আমাদের প্রোগ্রামের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এটি সমাজের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কোকেইন সেবনেও একইভাবে রেকর্ড বৃদ্ধি দেখা গেছে।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ায় বৈধ মাদকের মধ্যে অ্যালকোহল ও নিকোটিন সেবন সর্বাধিক। অবৈধ মাদকের মধ্যে ক্যানাবিস প্রথম স্থানে রয়েছে, যার ব্যবহার আঞ্চলিক এলাকায় বেশি। তবে রাজধানী শহরগুলোতে কোকেইন, এমডিএমএ, হেরোইন ও কেটামিন সেবন বেশি।

সবচেয়ে বেশি মেথ, কোকেইন ও এমডিএমএ সেবন বেড়েছে নর্দার্ন টেরিটরিতে, আর হেরোইনের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি বেড়েছে তাসমানিয়ায়। এসিআইসি-এর ধারণা, ২০২৭ সাল পর্যন্ত এই ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকতে পারে।

উল্লেখ্য, বর্জ্যপানি বিশ্লেষণ হলো এমন একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি যেখানে শহর বা এলাকার নর্দমা বা পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থায় জমা হওয়া পানির নমুনা পরীক্ষা করে বোঝা হয়, সেখানে কী ধরনের রাসায়নিক বা পদার্থ রয়েছে। এই পদ্ধতিতে মাদকদ্রব্যের উপাদান, অ্যালকোহল, নিকোটিন, এমনকি কিছু ওষুধের অবশিষ্টাংশও শনাক্ত করা যায়। পানির নমুনা সংগ্রহ করা হয় নর্দমা বা স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে। এরপর ল্যাবে পরীক্ষা করে নির্ধারণ করা হয়, ওই এলাকায় কত পরিমাণে কোন মাদক বা পদার্থ ব্যবহার হচ্ছে।

মাদক ব্যবহারের মাত্রা নির্ধারণে এটি অনেক দেশেই ব্যবহার হয়, কারণ এতে ব্যক্তিগতভাবে কাউকে পরীক্ষা করতে হয় না; কিন্তু সামগ্রিক চিত্র পাওয়া যায়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নতুন চার ধরনের ভিসা চালু করল আমিরাত, পরিবর্তন পুরোনো নিয়মেও

সাকিবকে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত উপদেষ্টা আসিফের

ডেঙ্গুতে ঝরল আরও ৩ প্রাণ, হাসপাতালে ৭৩৫

দেশে নির্বাচনের সময়ক্ষেপণের ষড়যন্ত্র চলছে : এম এ মালেক

১৩ মাসে ১৪ খুন, উদ্বিগ্ন জনসাধারণ

৪০ কোটি টাকা পাচার, ১৪ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা 

ষড়যন্ত্রকারীরা গণতন্ত্রকে রুখতে পারবে না : গয়েশ্বর

লোভনীয় অফারে হাতিয়ে নিত মোটা অঙ্কের টাকা, গ্রেপ্তার ৫

গ্রেপ্তার হতে যাচ্ছেন থালাপতি বিজয়?

জাপার রওশনপন্থি মহাসচিব মামুনুর রশীদের ৬ দিনের রিমান্ড

১০

দুর্গাপূজায় অসহায়দের পাশে সনাতনী অধিকার আন্দোলন

১১

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কোরআনে হাফেজের মৃত্যু

১২

‘বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে সমন্বিত স্বাস্থ্যখাত তৈরি করা হবে’ 

১৩

৮৯ বার পেছাল রিজার্ভ চুরি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন

১৪

নিজের জন্য সঠিক পারফিউম বাছাই করবেন কীভাবে

১৫

বিমানবন্দর থেকে আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৬

এবার দুর্নীতির মামলায় সাবেক বিচারপতি মানিক গ্রেপ্তার

১৭

পদ্মার এক ঢাই মাছ প্রায় অর্ধলাখ টাকায় বিক্রি

১৮

ঝড় তুললেন পরী মণি

১৯

রেলিং ভেঙে ঝুলে পড়ল ট্রাক

২০
X