দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নিয়োগ পেলেও চাকরি নেই, যোগদানের দাবিতে শ্রমিকদের অনশন

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে প্রজনন বীজ উৎপাদন কেন্দ্রে অনশনে বসেন আন্দোলনরত শ্রমিকরা। ছবি : কালবেলা
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে প্রজনন বীজ উৎপাদন কেন্দ্রে অনশনে বসেন আন্দোলনরত শ্রমিকরা। ছবি : কালবেলা

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে প্রজনন বীজ উৎপাদন কেন্দ্রে মৌসুমি শ্রমিক হিসেবে অনুমোদন পাওয়া ৬০ শ্রমিক চাকরিতে যোগদানের দাবিতে অনশন শুরু করেছেন। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পরও কাজে যোগদানের সুযোগ না পাওয়ায় তারা এ আন্দোলনে নেমেছেন।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে দেবীগঞ্জ প্রজনন বীজ উৎপাদন কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অনশনে বসেন আন্দোলনরত শ্রমিকরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি কৃষি ইনস্টিটিউট থেকে ৬০ শ্রমিককে ‘কাজ নাই মজুরি নাই’ ভিত্তিতে মৌসুমি শ্রমিক হিসেবে নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে অনুমতি পাওয়ার পরও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তাদের যোগদান করাননি। গত ৩ ফেব্রুয়ারি যোগদান ইস্যুতে উত্তেজনা চরমে ওঠে। দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।

এদিকে নিয়োগপ্রাপ্ত ৬০ শ্রমিকের কাজে যোগদান নিয়ে বাধা সৃষ্টি করছে অপর একটি গ্রুপ। ওই গ্রুপের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৮০ জন। জামিরুল, বিষু মিয়া, মিলনসহ বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেন, অপর গ্রুপটি বিএনপির দলীয় প্রভাব বিস্তার করে এবং তাদের গ্রুপের সদস্যরা বাদ পড়ায় তারা নিয়োগপ্রাপ্তদের যোগদানে বাধা সৃষ্টি করছেন। অথচ তাদের যোগদানের বৈধ কোনো কাগজ নেই।

রোববার সরেজমিন সকাল ৭টায় বীজ প্রজনন কেন্দ্রে গেলে দেখা যায়, অনুমতিপ্রাপ্ত ৬০ শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অফিসের সামনে অপেক্ষা করছেন। পরে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. অমল কুমার দাস অফিসে না আসায় সবাই তার বাসভবনে যান।

পরে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. অমল কুমার দাস শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে বাসা থেকে বেরিয়ে আসেন। এ সময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি যোগদান করাতে গেলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। আমার চাকরিও চলে যেতে পারে। এর আগে মারামারির ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে এখানে। আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েও কোনো সমাধান পাইনি। ২০১৩ সালে একই অর্ডার হলেও তখনো তারা যোগদান করতে পারেননি। এখন আমাকে চাপ দিচ্ছেন।

কেউ বাধা দিচ্ছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির লোকজন বাধা দিচ্ছে। এ সময় সফিকুল নামে এক ব্যক্তির কথা বলেন তিনি। যিনি এখানকার চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক ও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সফিকুল বলেন, এখানে দলীয় প্রভাব খাটানো হয়নি। আমরা বঞ্চিত। স্বজনপ্রীতি করে এলাকার মানুষকে নিয়োগ না দিয়ে চিলাহাটি, টেপ্রীগঞ্জের মানুষকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই আমাদের নিয়োগ যেন দ্রুত দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা মনে করছেন, দ্রুত সমাধান না হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন সাধারণ মানুষ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হাসিনার বক্তব্য প্রচার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারে কড়া বার্তা

ট্রাকচালকদের ভিসা বন্ধ যুক্তরাষ্ট্রে, কারণ কী?

গুদামে মজুত ছিল সরকারি বরাদ্দের ৩৫ বস্তা চাল

রক্তচাপ সম্পর্কে যা জানা জরুরি

লুটপাট-চাঁদাবাজি বন্ধে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই : মুজিবুর রহমান

 ১০ হাজার ‘বীর’ সেনাকে সম্মান জানালেন কিম

সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার ‘নিখোঁজ’ 

নির্মাণাধীন সেতুর দড়ি ছিঁড়ে নিহত ৭, নিখোঁজ ৯

ছাত্র আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে দেশ ছাড়ার মতো অবস্থায় তারকা খেলোয়াড়

নির্বাচন বিলম্বিত হলে পতিত স্বৈরাচার লাভবান হবে : ডা. জাহিদ 

১০

থানা হাজতে যুবকের মৃত্যু, পুলিশ বলছে ‘আত্মহত্যা’

১১

সাড়ে ১০ কেজি হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক

১২

বাড়িভাড়ার কথা বলে ঘরে প্রবেশ, হাত-পা বেঁধে লুটের পর বৃদ্ধাকে হত্যা

১৩

লরি উল্টে প্রাইভেটকারের ওপর, নিহত ৪

১৪

‘২৪ ঘণ্টা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে সাদা পাথর এলাকা’

১৫

তোপের মুখে স্বাধীন খসরু

১৬

দুটির বদলে একটি মিষ্টি পেয়ে মন্ত্রীকে ফোন, অতঃপর...

১৭

টানা ১০ দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

১৮

জাহান্নামের দরজা শিগগির খুলবে : ইসরায়েল

১৯

আ.লীগ কর্মীর বাড়িতে মিলল যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ 

২০
X