জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১ মার্চ (শনিবার) থেকে ৩০ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগরের মেঘনা নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।
একই সঙ্গে এ দুই মাস ইলিশ মাছ ক্রয়, বিক্রয়, পরিবহন এবং মজুত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে জেলেদের ভিজিএফের আওতায় খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।
ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকার আশপাশের বরফকলগুলোকেও নিষেধাজ্ঞা চলাকালে বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন মেঘনায় মাছ না ধরতে নদীর উপকূলীয় এলাকাসহ হাটবাজারগুলোতে মাইকিং, লিফলেট ও পোস্টারসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে জেলা-উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর। এ ছাড়া জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে মাছ শিকারে গেলে জেলেদের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কমলনগরে ১৪ হাজার ৯৮ জন ও রামগতিতে ২০ হাজার ৩৬০ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। দুই উপজেলায় মোট ৩৪ হাজার ৪৫৮ জন। এদের সবাই মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
রামগতি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সৌরভ-উজ-জামান বলেন, জাটকা সংরক্ষণে জেলেদের সচেতন করার জন্য নদী এবং উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকিং ও পোস্টারিংসহ সব ধরনের প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে মৎস্য বিভাগ।
কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তূর্য সাহা বলেন, নিষেধাজ্ঞার দুই মাসে প্রতিজন জেলে ভিজিএফের চাল পাবেন ৮০ কেজি করে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন