দৈনিক কালবেলার অনলাইনে গত ০৭ মার্চ প্রকাশিত ‘কৃষকের প্রণোদনা গেল অফিসারের পকেটে’ শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা কৃষি অফিসার তানিয়া তাবাসসুম। এক প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেন, আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আপনার পত্রিকার গত ০৭ মার্চ অনলাইন সংস্করণে ‘কৃষকের প্রণোদনা গেল অফিসারের পকেটে’ শিরোনামে প্রকাশিত আমার ছবি সংবলিত সংবাদে আমার সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর, ভুল ও মানহানিকর তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
এ প্রতিবেদনে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আমি সংশ্লিষ্ট কৃষকদের টাকা প্রদান করিনি, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বাস্তবে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখিত নামের কৃষকরা যথাযথভাবে তাদের প্রাপ্য অর্থ গ্রহণ করেছেন, যার প্রমাণস্বরূপ আমি নিচে তাদের লেনদেন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথা প্রদান করছি।
১। কৃষকের নাম : হামিদুল হক, পিতা : আলী আহাম্মদ, গ্রাম : ফতেহপুর, ব্লক : বড়লৌহঘর, ইউনিয়ন : মনিয়ন্দ, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। বিকাশ নম্বর : ০১৬২৪-৫৩৪৮৪০, ট্রানজেকশন নম্বর : BJI2J7DHE2, তারিখ : ১৮/১০/২০২৪ মোতাবেক।
২। রোকেয়া বেগম, স্বামী : ফয়েজ আহাম্মদ, গ্রাম : ফতেহপুর, ব্লক : বড়লৌহঘর, ইউনিয়ন : মনিয়ন্দ, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। বিকাশ নম্বর : ০১৬৪৩-১৬৯১৫৯, ট্রানজেকশন নম্বর : BJIIJ7FGZT, তারিখ : ১৮/১০/২০২৪ মোতাবেক।
৩। ইয়াছমিন বেগম, স্বামী: ইসমাইল হোসেন, গ্রাম: বড়লৌহঘর, ব্লক : বড়লৌহঘর, ইউনিয়ন : মনিয়ন্দ, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। বিকাশ নম্বর। ০১৬৪৪-১৬৭৬৩৩, ট্রানজেকশন নম্বর: BJI3J7824N, তারিখ: ১৮/১০/২০২৪ খ্রি. মোতাবেক।
৪। রুমানা আক্তার, পিতা : হোমায়ুন, গ্রাম : খলাপাড়া, ব্লক : আদমপুর, ইউনিয়ন : মোগড়া, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। বিকাশ নম্বর : ০১৯৫১-৪৬৮০০০, ট্রানজেকশন নম্বর : BK622APY9W, তারিখ : ০৬/১১/২০২৪ মোতাবেক।
সরকারের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে আমি ন্যায় ও সততার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কৃষককে তাদের প্রাপ্য টাকা শতভাগ বিতরণ করেছি, যার বিস্তারিত স্ট্যাটমেন্ট ও প্রমাণ আমার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে, যা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরযোগ্য। কিন্তু এ ধরনের ভুল ও বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করে আমার পেশাগত সুনাম ক্ষুণ্ন করা হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।
উল্লেখ্য, প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে- আপনার পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন, যা মোটেও সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে তিনি আমি কিংবা উল্লেখিত কোনো কৃষকের সঙ্গে কথা বলেননি বলে কৃষকরা আমাকে নিশ্চিত করেছেন।
অতএব, আপনার পত্রিকার প্রতি আমার অনুরোধ, বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদনটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করাসহ আপনার পত্রিকায় এই প্রতিবাদলিপি প্রকাশ করে আমার মানহানি রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। অন্যথায়, আমি আমার সম্মান রক্ষার্থে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবো।
আর্কাইভ 
| ২৭ আগস্ট ২০২৫ 
