

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সম্প্রতি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ছয়টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। এসব ভবনের বাসিন্দাকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার জন্য ভবন মালিকদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজউক ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (আইআইবি) বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীদের একটি প্রতিনিধিদল আটি ভূমি পল্লী ও হাউজিং এলাকায় ভবনগুলো পরিদর্শন করে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেন।
আইআইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী এটিএম তানভীরুল হাসান তমাল বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর ফাউন্ডেশন যথেষ্ট শক্তিশালী না থাকায় সয়েল সেটেলমেন্টের কারণে টল্টিং হয়েছে। তবে ভেতরের স্ট্রাকচারে কোনো ফাটল দেখা যায়নি। ভবনগুলো নির্মাণের সময় গভীর পাইলিং করা হয়নি, যার ফলে দুর্বল অংশ হেলে পড়েছে।
এ বিষয়ে রাজউক নারায়ণগঞ্জ জোন-৮-এর অথরাইজড অফিসার প্রকৌশলী রংগন মন্ডল বলেন, তিনটি ভবন পাশের অপর তিনটি ভবনের ওপর হেলে পড়েছে। তাই মোট ছয়টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ বিবেচিত না হবে, ততক্ষণ ভবনগুলো ব্যবহার করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা প্রতিটি ভবনে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। মালিক ও বাসিন্দারা ইতোমধ্যে অনেক ভবন খালি করতে শুরু করেছেন। ভবনগুলো খালি হওয়ার পর পুনঃপরীক্ষা ও প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দেশে গত এক সপ্তাহে দফায় দফায় ভূমিকম্প হয়েছে। এর মধ্যে গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) নরসিংদীর মাধবদীতে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার যে ভূমিকম্প হয়েছিল সেটি ছিল স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের একটি। রাজধানীর এত কাছে এমন শক্তিশালী ভূমিকম্প নিকট অতীতে সংঘটিত হয়নি। এই ভূমিকম্পের পরই রাজধানীসহ আশপাশের বাসিন্দা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
এদিকে বাংলাদেশে গত কিছুদিনে কয়েক দফায় ভূমিকম্প হওয়ার পর জরুরি ভিত্তিতে জরিপ চালিয়ে ঢাকায় ৩০০টি ভবনকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এম. আশরাফুল ইসলাম জানান, রাজধানীজুড়ে তাদের প্রাথমিক জরিপে ৩০০টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে পাওয়া গেছে, যেখানে ফাটল এবং হেলে পড়া দেখা গেছে।
মন্তব্য করুন