নূরে আলম সিদ্দিকী
প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৬ পিএম
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পর্যটকদের নতুন আকর্ষণ ঝাঁপার ভাসমান সেতু

ঝাঁপার ভাসমান সেতু। ছবি : সংগৃহীত
ঝাঁপার ভাসমান সেতু। ছবি : সংগৃহীত

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা বাঁওড়ের ওপর নির্মিত ভাসমান সেতু এখন শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ঈদুল ফিতরের ছুটিতে এখানে প্রতিদিন ১০-১৫ হাজার পর্যটক ভ্রমণ করেছেন।

ঝাঁপা গ্রামের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের যোগাযোগের দুর্ভোগ কাটাতে ‘ঝাঁপা গ্রাম উন্নয়ন ফাউন্ডেশন’ গঠন করা হয়। প্রায় ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে এবং স্থানীয় যুবকদের স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত এই সেতু ১ হাজার ফুট দীর্ঘ এবং ৯ ফুট প্রশস্ত। ৮৩৯টি প্লাস্টিকের ড্রাম এবং স্টিলের ফ্রেম ব্যবহার করে তৈরি এই ভাসমান সেতু পানির ওপর দিয়ে হাঁটার এক অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

নির্মাণের পর থেকেই এই সেতু দর্শনার্থীদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ এই সেতু দেখতে ভিড় করেন। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে দর্শনার্থীদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়।

ভাসমান সেতু পরিদর্শন করেন যশোরের জেলা প্রশাসক।

সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর চারপাশে গড়ে উঠেছে খাবারের দোকান, চটপটি-ফুচকার স্টল, নাগরদোলা, যা পর্যটকদের জন্য অতিরিক্ত বিনোদনের সুযোগ তৈরি করেছে। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে দেওয়া স্পিড বোটে করেও দর্শণার্থীরা ভ্রমণ করছেন।

ঝাঁপা বাওড়ের মনোরম পরিবেশ এবং নৌকায় বাওড় ভ্রমণের সুযোগ পর্যটকদের মনে রোমাঞ্চ জাগায়। অনেকে দলবেঁধে পিকনিকের জন্যও এখানে আসেন। অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব

এই সেতু শুধু পর্যটন কেন্দ্রই নয়, স্থানীয় অর্থনীতির জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রবেশমূল্য হিসেবে টিকিট ব্যবস্থা রয়েছে, যা স্থানীয় উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া, সেতুর কারণে গ্রামের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়েছে, যা শিক্ষা, চিকিৎসা এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

রাজগঞ্জ পর্যটন ক্লাবের সভাপতি আলমগীর হোসেন লাচ্চু জানান, ভাসমান এ সেতু পর্যটকদের কাছে অনেক প্রিয় হয়ে উঠছে প্রতিনিয়ত। ঈদুল ফিতরে এখানে প্রতিদিন ১০-১৫ হাজার পর্যটক ভ্রমণ করেছেন। এখানে নতুন করে স্পিড বোটে ভ্রমণের সুবিধা চালু হয়েছে। আমরা দর্শণার্থী ও অতিথিদের জন্য পর্যটন ক্লাবের উদ্যোগে একটি রেস্টহাউজ নির্মাণ করেছি। এখনো অনেক কার্যক্রম চলমান।

রাজগঞ্জ অঞ্চলকে একটি পর্যটন ভিত্তিক অর্থনৈতিক অঞ্চলে রুপান্তরের স্বপ্নদ্রষ্টা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহসভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মো. মুতাছিম বিল্লাহ বলেন, আমি এই এলাকার সন্তান। ছোট থেকে দেখেছি এই বাঁওড় পারাপার নিয়ে মানুষের ভোগান্তি। তখন থেকেই স্বপ্ন দেখতাম একদিন এই এলাকা অনেক উন্নত হবে, সবার কাছে দর্শণীয় এক স্থান হবে। বর্তমানে ভাসমান সেতু চালু হওয়ায় অনেকাংশে সেটি সফল হয়েছে। ভবিষ্যতে এখানে আরও অনেক উন্নতি হবে বলে আশা করছি। আমি আমার এলাকাবাসীদের সঙ্গে নিয়ে এই এলাকার উন্নয়নে সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জামায়াতের মুখে সংস্কার, হাস্যকর বিষয় : সোহেল

লবণ বেশি খেলে কী ঘটে শরীরে? জানালেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞ

গণতন্ত্রকামী দলগুলোর দূরত্ব তৈরি হলে ফ্যাসিবাদ সুযোগ নেবে : তারেক রহমান

বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার

স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে ক্ষমা চাইতে হবে : এনসিপি নেতা ডা. জাহিদুল

বিপিএলে ফিক্সিং নিয়ে যা বললেন বিসিবি সভাপতি

রুশ ট্রেনে ইউক্রেনীয় বাহিনীর ভয়াবহ হামলা

শিক্ষকের গলায় সাবেক ছাত্রীর ছুরিকাঘাত

ফেনীতে অবিস্ফোরিত দুটি গ্রেনেড উদ্ধার

বিএনপির ক্ষমতার একমাত্র উৎস এদেশের ১৮ কোটি জনগণ : মীর হেলাল

১০

যমুনায় নৌবন্দরের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে জরিপ শুরু

১১

শিশুদের হৃদরোগ চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচনের আশা

১২

কলিং ভিসায় সাড়ে ২৪ লাখের বেশি কর্মী নেবে মালয়েশিয়া

১৩

‘ভুল করে’ কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া আসামিকে খুঁজছে পুলিশ

১৪

প্রমাণ না পাওয়ায় মালয়েশিয়ায় মানব পাচার মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল 

১৫

জামায়াত নেতাদের সঙ্গে আইআরআইয়ের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

১৬

অন্যের চার্জার দিয়ে ফোন চার্জ, ঘটতে পারে যেসব বিপদ

১৭

সন্ধান মিলল অস্ত্র তৈরির কারখানার, আটক ২

১৮

গাজীপুরে ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল

১৯

জবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরিফুল কারাগারে 

২০
X