যশোরের চৌগাছায় লাল আঙুর চাষে প্রথমবারেই সফলতা দেখিয়েছেন কামরুজ্জামান এপিল নামে এক কোরিয়া প্রবাসী। তার দুই বিঘা জমির আঙুর বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে লাল আঙুর।
উদ্যোক্তা কামরুজ্জামান এপিল উপজেলার ১১নং সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণকোরিয়া প্রবাসী এপিল স্বপ্ন দেখতেন দেশের মাটিতে আঙুর চাষ করবেন।
সোমবার (০৫ মে) সরেজমিনে গ্রামের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, প্রবাস ফেরত কামরুজ্জামান এপিল নিজ জমিতে আঙ্গুরের পরিচর্যা করছেন। প্রবাস থেকে ফিরে গ্রামের মাঠে নিজের ২ বিঘা জমিতে আঙুর চাষ শুরু করেন। ২০২৪ সালের জুন মসে আঙুর ফলের বাইক্লো, এপোলো ও ব্লাক ম্যাজিক এই তিন জাতের চারা রোপণ করেন তিনি। বর্তমানে এপিলের ক্ষেতের মাচায় থোকায় থোকায় ঝুলছে লাল রঙের আঙুর। আঙুর যেন পোকা বা পাখির আক্রমণ থেকে রক্ষা এবং রং ঠিক রাখার জন্য আঙ্গুরের থোকা গুলি পলিপ্যাক দিয়ে মুড়িয়ে দিয়েছেন এপিল।
তিনি জানান, নিয়মিত গাছের পরিচর্যা করেন। গাছ বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিমেন্টের খুঁটি, তার, বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করা হয়। চলতি বছরের মার্চ মাসে ফুল আসে গাছে। এপ্রিল মাসে ফল ধরা শুরু করে। বর্তমানে গাছগুলোতে বিপুল পরিমাণ আঙুর ফলে ভরে গেছে আঙ্গুরের মাচাগুলি। বর্তমানে আঙুর ফল মিষ্টি হতে শুরু করেছে।
উদ্যোক্তা কামরুজ্জামান এপিল বলেন, মে মাসের শেষের দিকে আঙুর ফল পাকা শুরু করবে। সুস্বাদু ও মিষ্টি হবে। তার আশা ক্ষেতের ফল যশোরের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করতে পারবেন। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আঙ্গুরের চাষ শুরু হয়েছে। এভাবে চাষ বাড়তে থাকলে আশা করি বিদেশ থেকে আঙুর ফল আনা লাগবে না। এতে আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে।
চৌগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসাব্বির হুসাইন জানান, তার আঙুর সিডলেস হয়েছে। আমাদের অঞ্চলে আগে থেকেই ড্রাগনসহ বিভিন্ন বিদেশি ফল চাষ হচ্ছে। গত বছর থেকে আঙ্গুরের চাষও শুরু হয়েছে। এভাবে চাষিরা এগিয়ে এলে আঙুর চাষ আমাদের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মন্তব্য করুন