বিএনপির খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, বিএনপি ৩১ দফার আলোকে রাষ্ট্র গঠন করতে চায়। আমরা এই দেশকে সবার জন্য নিরাপদ আবাস ভূমি হিসেবে গড়তে চাই। তার জন্য নির্বাচনের মাধ্যমে অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। সবার অংশগ্রহণে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিস্টের রক্ত চক্ষু সহ্য করেও বিএনপির নেতাকর্মীরা ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে লড়াই করেছেন। অপরদিকে একটি রাজনৈতিক দল প্রতি পদে পদে আপস করেছেন। তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ হয়েছে। যুব সংগঠন হয়েছে যুবলীগ। আর মূল সংগঠন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলেমিশে চলেছেন। এটি ছিল তাদের রাজনৈতিক কৌশল? পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেই ঋণ শোধ করার দায় থেকেই যায়। ফলে তাদের আঁচলের তলে আওয়ামী লীগ আশ্রয় খুঁজবে এটাই স্বাভাবিক। এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ডিইএব) যশোর জেলা শাখা আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোস্তফা আমির ফায়সাল। জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওমর ফারুক তারেক। সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি, জেলা আইডিইবি সভাপতি আব্দুল সাত্তার।
প্রধান অতিথির বক্তব্য খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায় ১৯৮৬ সালে হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের নির্বাচনের বৈধতা দিয়েছিল আওয়ামী লীগ ও অপর একটি রাজনৈতিক সংগঠন। ১৯৮৮ সালের নির্বাচনকে বৈধতা দেয় এই দুই সংগঠন। ১৯৯১ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন এই দুই সংগঠন মিলে ১৭৬ দিন হরতাল করেছিল। মিলেমিশে থাকার স্বভাব তাদের পুরোনো। তাই এদেরকে মোকাবিলায় আমাদেরকে সুসংগঠিত থাকতে হবে।
অমিত বলেন, বিএনপি চায় একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন। জনগণ যে রায় দেবে তা আমরা মাথা পেতে নেব। বিএনপির কোনো অনৈতিক সুবিধা নিতে চায় না। বিএনপি বিশ্বাস করে- হৃদয় ধারণ করে ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে বিএনপি ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য আপনাদেরকে সাথি হিসেবে পেতে চায়।
মন্তব্য করুন