সিলেটের গোলাপগঞ্জে আলোচিত ব্যবসায়ী শাহিন হত্যায় একজনের ফাঁসি এবং ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (০৭ মে) সিলেটের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল হাসান এ রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ওয়াহিদুর রহমান সানি সিলেটের গোলাপগঞ্জের হাজিপুর (শুকনা) গ্রামের মাহবুবুর রহমান ফয়সালের ছেলে। পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কায়স্তগ্রাম (কুসুমবাগ) গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে সারওয়ার হোসেন, মানিক মিয়ার ছেলে শাকিল আহমেদ, নুর ইসলামের ছেলে ফাহিম ইসলাম এবং বিশ্বনাথ থানার বাহাড়া (দুবাগ) গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে রায়হান আহমেদ। তাদেরকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৩ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আসামিদের মধ্যে রায়হান পলাতক রয়েছেন।
তাছাড়া এ মামলা জামিনে থাকা গোলাপগঞ্জের হাজিপুর (শুকনা) গ্রামের মৃত তৈবুর রহমানের ছেলে মাজেদুর রহমানকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।
জানা যায়, ২০২১ সালের ২২ মার্চ রাতে জরুরি কাজ শেষ করে ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন গোলাগঞ্জের হেতিমগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা এহতেশামুল হক শাহিন। সিলেটে নেমে তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে বাড়ি পথে নিজ গ্রাম হাজিপুর লরিফর রাস্তার ভেতরে প্রবেশ করা মাত্র মুখোশধারী অজ্ঞাত কয়েজন সন্ত্রাসী রাস্তায় কলাগাছ ফেলে গাড়ির গতিরোধ করে। তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শাহিনের উপর হামলা চালায়।
এ সময় শাহিনের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের ধস্তধস্তির একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা শাহিনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে খুন করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত এহতেশামুল হক শাহিন গোলাপগঞ্জের হাজিপুর লরিফর গ্রামের মৃত আব্দুল হকের ছেলে। তিনি হেতিমগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সাবেক সহসভাপতি ছিলেন।
শাহিন হত্যার ঘটনায় পরের দিন তার ছোট ভাই ইফতেখারুল হক সবুজ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ২ মে র্যাব-৯ সদস্যরা ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে।
মন্তব্য করুন