ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের প্রেক্ষিতে ফেনী জেলার ১২৬ কিলোমিটারের সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছিল। তবে বিজিবির টহল জোরদারের পাশাপাশি গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সীমান্তবাসী এলাকার বাসিন্দাদের মাঝে।
সরেজমিনে ঘুরে জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ থাকলেও ফেনী সীমান্ত এখনো স্বাভাবিক। তবে ভারত অংশে বিএসএফ আগে লাল হ্যালোজেন লাইট ব্যবহার করলেও এখন তাদের উজ্জ্বল এলইডি লাইট ও ক্যামেরা এবং সেন্সর প্রতিস্থাপন করছে। এখানে এখনো কোনো পুশ ইনের ঘটনা ঘটেনি। যদি বিএসএফ কোনো রকম তৎপরতা দেখায় তাহলে স্থানীয় জনতা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিজিবিকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করা হবে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, চলমান পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার সুরক্ষা ও জনগণের নিরাপত্তা বিধানে বিজিবি, পুলিশ ও জেলার সীমান্তবর্তী এ তিনটি উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয় অব্যাহত রেখে আনসার সদস্য এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা রাতে এখানকার সীমান্ত পাহারা দিচ্ছেন। সীমান্ত পথে গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। একসঙ্গে আনসার ভিডিপি ও এলাকাবাসীও সজাগ রয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেনী ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক (পরিচালক) লে. কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন কালবেলাকে জানান, বর্তমান প্রেক্ষাপট ও সীমান্তে নানা পরিস্থিতিতে ফেনী সীমান্ত সুরক্ষা ও স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা বিধানে বিজিবি কাজ করছে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ কার্যক্রম গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। সীমান্তের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সর্বদা সজাগ সতর্ক থেকে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে হুঁশিয়ারি জারি করা হয়েছে। এছাড়াও অধিকতর টহল তৎপরতার জন্য সীমান্তে জনবল বৃদ্ধির পাশাপাশি পুলিশ ও আনসার সদস্যরা কাজ করছেন।
উল্লেখ্য, ফেনী সীমান্ত এলাকা মোট ১২৫.১৯ কিলোমিটার। এর মধ্যে ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরাম ও ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর, শর্শদি ও কাজিরবাগ ইউনিয়ন রয়েছে। এখানে ১০২.৯ কিলোমিটার এলাকা দেখে ফেনীর ৪ বিজিবি আর ফুলগাজী ও ফেনী সদরের ২৩.১০ কিলোমিটার এলাকা দেখভাল করে কুমিল্লার ১০ বিজিবি।
মন্তব্য করুন