দেশের শুল্ক স্টেশন ও স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি কিছু পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। এর প্রভাবে দেশের একমাত্র চারদেশীয় (বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত ও ভুটান) বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে পিভিসি ডোরের কোনো গাড়ি আজকে যায়নি। তবে বন্দরের অন্য পণ্যের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) বিকেল পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে মোট ৩৫ ট্রাক পণ্য ভারত ও নেপালে রপ্তানি হয়েছে। ৬ ট্রাক কটন র্যাগস ও গ্রানুয়েলস ১ ট্রাক ভারতে রপ্তানি হয়েছে। আর নেপালে আলু ১২ ট্রাক, টিস্যু পেপার ৩ ট্রাক ও জুট ইয়ার্ম তিনটি ট্রাক রপ্তানি হয়েছে।
বন্দর সূত্র জানায়, ভারত ও ভুটান থেকে বোল্ডার পাথর আমদানিনির্ভর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পণ্য রপ্তানি হয় সীমিত পরিমাণে। বর্তমানে এই বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে কটন র্যাগস, প্রসেস ফুট ও প্লাস্টিক দানা রপ্তানি হচ্ছে। এ ছাড়া ভারতে সীমিত পরিসরে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য সামগ্রী ও প্লাস পণ্যসহ পিভিসি ডোর (দরজা) রপ্তানি হয়।
এই নিষেধাজ্ঞায় এসব পণ্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। তবে এতে চতুর্দেশীয় এ স্থলবন্দরে বড় কোনো প্রভাব পড়েনি। আমদানিনির্ভর স্থলবন্দরটিতে দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ ট্রাক পাথর আমদানি হচ্ছে। এ ছাড়া নেপালে রপ্তানি হচ্ছে আলুসহ নানা পণ্য।
স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সুমন ইসলাম বলেন, রোববার (১৮ মে) ভারতে এক গাড়ি পিভিসি ডোর রপ্তানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারতের ব্যবসায়ীরা সেটা নিচ্ছেন না। তাই বন্দর থেকে এ পণ্য ফেরত পাঠানো হয়েছে। এ বন্দর দিয়ে আমরা ব্যবসা করে আসছিলাম কিন্তু ভারত সরকার বন্দরের মাধ্যমে প্লাস্টিকসহ কিছু পণ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কিছুটা সমস্যায় পড়েছি।
বন্দরে রপ্তানিযোগ্য ট্রাক কম হলে কাজ হারিয়ে বিপাকে পড়বেন বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা। বন্দরটিতে কাজ করা এক শ্রমিক বলেন, ‘আমাদের আগের মতো কোনো ইনকাম হয় না । কাজ না থাকলে পরিবার নিয়ে কি খাব।’
বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ভারত যেসব পণ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেসব পণ্য এই স্থলবন্দর দিয়ে খুব একটা যায় না। ২-১টি পণ্য গেলেও খুব সীমিত। এজন্য ভারত সরকারের নতুন নিষেধাজ্ঞায় এখানে তেমন প্রভাব পড়েনি। আমাদের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম এখনো স্বাভাবিক রয়েছে।
মন্তব্য করুন