মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাসের চাপায় অ্যাম্বুলেন্সের চালকসহ পাঁচ যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় চালককে গ্রেপ্তার করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. ফয়সাল (৪৫)। তিনি ভোলার চরফ্যাশনের মো. ফারুকের ছেলে ও গোল্ডেন লাইন বাসের চালক।
হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ৮ মে দুর্ঘটনার পরে সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা করা হয়। চালক ফয়সাল সে মামলার ১ নম্বর আসামি। দুর্ঘটনার পর থেকে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালকের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে মামলার অপর দুই আসামি বাসের সুপারভাইজার কল্যাণ বিশ্বাস ও চালকের সহকারী মো. সাইফুল ইসলাম শান্তকে দুর্ঘটনার দিনই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
৮ মে সকালে মাদারীপুর হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোজিনা বেগম নামের এক অন্তঃসত্ত্বাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। পথিমধ্যে মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানের নিমতলা এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সের চাকা ফেটে বিকল হয়ে যায়। এ সময় মহাসড়কের পাশে অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে চাকা মেরামত করছিলেন চালক। ওই সময় অ্যাম্বুলেন্সের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন যাত্রীদের কয়েকজন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকাগামী গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস অ্যাম্বুলেন্সের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান রোজিনার শাশুড়ি শাহেদা বেগম (৫৮)। আহত হন অ্যাম্বুলেন্সের চালকসহ রোজিনার অন্য স্বজনরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে রোজিনার শ্বশুর আবদুস সামাদ ফকির (৬৫), স্বামী হাফেজ বিল্লাল (৩৬), ননদ হাফেজা আফসানা (২৪) ও অ্যাম্বুলেন্সের চালক মাহবুবকে (২৮) মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এ ঘটনার পরদিন বাসটির চালক, চালকের সহকারী, সুপারভাইজারসহ তিনজনকে আসামি করে সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা করেন রোজিনার মামাশ্বশুর সারোয়ার শেখ।
মন্তব্য করুন