নাটোরের গুরুদাসপুরের মশিন্দার বিলকাঠোর গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে দাদির বিরুদ্ধে ১৭ মাসের যমজ শিশু হত্যার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে ওই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসাধীন যমজ শিশু হলেন নাঈম ও নাফিস। শিশুদের মা নাজমা বেগম বিলকাঠোর গ্রামে সাকিব হাসানের স্ত্রী।
শিশুর বাবা সাকিব হাসান জানান, মা মারা যাওয়ার পর আমার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন যাওয়ার পর পরিবারে নেমে আসে অশান্তি। সৎমা আমাকে ও আমার স্ত্রীকে দেখতে পারত না। বিভিন্ন সময়ে আমার বাবা ও সৎমা আমাকে স্ত্রীসহ দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে অন্য কোথাও চলে যেত বলত। আরও বলত, নইলে তোর দুই সন্তানকে আমি বিষ খাইয়ে মেরে ফেলব।
সকালে সন্তান দুটি বাড়ির উঠানে খেলতে থাকলে হত্যার উদ্দেশ্যে বাবা বিষ মাখানো বালতি রেখে উধাও হয়ে যায়। খেলতে খেলতে শিশুরা ওই বালতির মাখানো বিষ মুখে দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুরা ছটফট করতে থাকে। পরে আমি ছুটে এসে বিষ মাখানো বালতি দেখে বিষ খাওয়ার আশঙ্কায় শিশুইদের সরিষার তেল ও তেঁতুল খাইয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুরা সুস্থ রয়েছে।
সাকিবের বাবা হাসিনুর রহমান জানান, আমার সন্তান মিথ্যা কথা বলছে। আমি কখনও এ কাজ করতে পারি না। সন্তান তার স্ত্রীর কথামতো আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। নিজ দাদা কি কখনও এ কাজ করতে পারে। আপনাদের কাছে আমি এর উত্তর চাই।
এদিকে হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, শিশু দুটিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তারা সুস্থ রয়েছে। প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে শিশু দুটি বিষ খাই নাই। তবুও তাদের ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার ওসি মোনারুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করে নাই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন