মাদারগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৫, ০৯:২৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় নেই ডাম্পিং স্টেশন

দুর্গন্ধ নিয়ে চলাচল করছে পথচারীরা। ছবি : কালবেলা
দুর্গন্ধ নিয়ে চলাচল করছে পথচারীরা। ছবি : কালবেলা

১৯৯৯ সালে তৃতীয় শ্রেণি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় জামালপুরের মাদারগঞ্জ পৌরসভা। একপর্যায়ে দ্বিতীয় শ্রেণি ও সর্বশেষ ২০১৯ সালে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে উন্নীত হয়। তবে নামেই প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। প্রায় ১০.৭৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই পৌরসভায় ৫০ হাজারের অধিক মানুষের বসবাস। এ পৌরসভায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১ টন বর্জ্য তৈরি হয়। অথচ এই বর্জ্য অপসারণে নেই আধুনিক কোনো ব্যবস্থা।

স্থায়ী কোনো ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় শহরের প্রধান বাজারের পাশেই ফেলা হচ্ছে বর্জ্য। এতে দুর্গন্ধ পৌরবাসীর এখন নিত্যসঙ্গী। এতে করে পৌরবাসীর মধ্যে ছড়াচ্ছে রোগ-জীবাণু। পাশেই একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দুর্গন্ধ সঙ্গে নিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে ও বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। এ নিয়ে ভুক্তভোগীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা পর্যাপ্ত আয় এবং জমির অভাবে স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন স্থাপন করতে পারছেন না।

ফার্নিচার ব্যবসায়ী আক্কাস রানা ও হাফিজুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সংলগ্নে ময়লার দুর্গন্ধে শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। দুর্গন্ধের কারণে ক্রেতা আগের মতো আর আসে না।

অক্সফোর্ড একাডেমির অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিফাত আল করিম বলেন, ময়লার দুর্গন্ধে নিয়ে স্কুলে আসতে হচ্ছে ও বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। এতে প্রায়ই আমাদের শরীর খারাপ হচ্ছে।

চাইলেনীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মাহমুদা রোজী বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ময়লা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ। এই দুর্গন্ধের ফলে অনেক শিক্ষার্থী নানা ধরনের অসুস্থতার কথা জানাচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বর্জ্য-আবর্জনার দুর্গন্ধের কারণে ডায়রিয়া, আমাশয়, পেটের পীড়াসহ সব ধরনের রোগ হতে পারে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শাহাদুল ইসলাম জানান, ডাম্পিং স্টেশন স্থাপনের মাধ্যমে নাগরিক সেবার পাশাপাশি পৌর কর্তৃপক্ষ তাদের ময়লা-আবর্জনাকে সম্পদে পরিণত করতে পারে। তাদের সংগৃহীত বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস ও জৈবসার উৎপাদন করা সম্ভব।

মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার প্রশাসক নাদির শাহ নাদির বলেন, পর্যাপ্ত আয় ও জায়গা না থাকায় ডাম্পিং স্টেশন স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। একটি ডাম্পিং স্টেশন স্থাপন করতে প্রায় এক একর জমির প্রয়োজন। আমাদের পৌরসভায় ছোট হওয়ায় সেরকম জায়গা মিলছে না। আগামী অর্থ বছরে ডাম্পিং স্টেশনের স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের দামে ফের রেকর্ড, বাড়ল কত?

ভারতের নো-হ্যান্ডশেক নীতিতে পাল্টা অবস্থান পাকিস্তানের

পবিত্র কোরআনের বাণী স্মরণ করে আল্লাহর নির্দেশনা প্রার্থনা এনসিপি নেত্রীর

রোনালদো-মেসি এক দলে? গুজব নাকি বাস্তবতা

এনসিপি-জামায়াত জোট : রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করলেন মাহফুজ আলম

হিরো আলম যোগ দিলেন আমজনতার দলে

সিরিয়ায় বিক্ষোভ ঘিরে সহিংস সংঘর্ষ, নিহত একাধিক

রাউজানে চূড়ান্ত প্রার্থী গোলাম আকবর খোন্দকার

ভারতের অধিনায়ক হলে টিকতেন না স্টোকস!

হাসনাত আব্দুল্লাহকে চেনেন না বিএনপি প্রার্থী মঞ্জুরুল আহসান

১০

দুই দিনে শেষ হওয়া অ্যাশেজ টেস্টে হতবাক এমসিজি কিউরেটর

১১

জোটে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন নাহিদ

১২

দুই আসনের মনোনয়পত্রে স্বাক্ষর করলেন তারেক রহমান

১৩

হেলমেট পরে এসে গুলি, এবার যুবদল নেতার মৃত্যু

১৪

চট্টগ্রাম-৬ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত টিকিট পেলেন যিনি

১৫

বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ, ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

১৬

বরিশাল-ঢাকাসহ অভ্যন্তরীণ সব রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা

১৭

জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিল আরও এক দল

১৮

ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৩

১৯

ম্যাচ জেতানো চেরকিকে নিয়ে অদ্ভুত মন্তব্য গার্দিওলার

২০
X