রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রাজশাহীর মিষ্টি পানের জিআই নিবন্ধন চেয়ে আবেদন

মিষ্টি পানের জিআই নিবন্ধন চেয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদন। ছবি : কালবেলা
মিষ্টি পানের জিআই নিবন্ধন চেয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদন। ছবি : কালবেলা

রাজশাহীর কৃষকের প্রধান অর্থকরী ফসল মিষ্টি পানের জিআই নিবন্ধন চেয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) বরাবর আবেদন করেছে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়।

বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে জিআই আবেদনের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, রাজশাহীর ঐতিহ্য মিষ্টি পান। জিআইর গুরুত্ব অনুধাবন করে আবেদনের উদ্যোগ নিয়েছি। যেমনটা নাটোরের কাঁচাগোল্লা করেছি।

তিনি আরও বলেন, রাজশাহীবাসীর কাছে সারাজীবনের একটা বিষয় থাকবে যে, পানের স্বত্ব হলো। যখন জিআই পণ্যের স্বীকৃতি মিলবে তখন মিষ্টি পানের চাহিদাও বাড়বে। আমাদের যারা প্রান্তিক কৃষক আছে তারা পানের দাম পাবে। অন্য পানের চেয়ে আমাদের পানের চাহিদা দেশসহ সারা বিশ্বে বাড়বে। ফলে আমাদের প্রান্তিক কৃষকের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে এবং বিশ্ব দরবারে রাজশাহীর পরিচিতি ও সুনাম বাড়বে।

রাজশাহীর মিষ্টি পানের ডকুমেন্টেশন তৈরিসহ আবেদন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করায় তিনি ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারকে (ইডিসি) ধন্যবাদ জানান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মো. শামসুল ইসলাম, ই-কমার্স ডেভেলপমন্টে সেন্টার (ইডিসি) সদস্য প্রতাপ পলাশ, মো. দেলোয়ার, সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

পান রাজশাহীর প্রধান অর্থকরী ফসল। এ জেলার মাটি ও জলবায়ুর কারণে প্রাচীন আমল থেকে মিষ্টি পানের উৎপাদন হয়ে আসছে। পান চাষে কৃষকরা জড়িয়ে আছে বংশপরম্পরায়। মোহনপুর, বাগমারা, দূর্গাপুরে রয়েছে অসংখ্য শতবর্ষী পানের বরজ। পান চাষে ভাগ্য বদলেছে হাজার হাজার কৃষকের। কয়েক লাখ মানুষের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন রাজশাহীর মিষ্টি পান। পানের কারণে রাজশাহীতে বেড়েছে সরিষা আবাদ, বাঁশ, নালিয়াসহ নানারকম সহযোগী পণ্যের চাহিদা। ফলে নানাভাবে রাজশাহীর অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে মিষ্টি পান।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪৪৯৬ হেক্টর জমিতে মিষ্টি পানের আবাদ হয়েছে। যার ফলন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৬৬৭৮ টন।

উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ নাটোরের কাঁচাগোল্লার জিআই নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করেছিলেন। যা দেশের ১৭তম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মোটরসাইকেল-অটোরিকশার সংঘর্ষ, ছাত্রদল নেতাসহ নিহত ২

মাগুরায় এবার মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ হলেন অতিরিক্ত আইজিপি

দেশের সেরা ‘সুব্রত খাজাঞ্চি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’

ঝোপে পড়েছিল তিনটি অস্ত্র ও কার্তুজ

দুই সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত, আহত ৭

নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ আদায়ে রাজপথের কথা ভাবছে বিএনপি 

অসুস্থ গোরখোদক মনু মিয়ার শেষ ইচ্ছা হজে যাওয়া

মাটি খুঁড়ে ৭৪ কেজি কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার

এবার আমিরাতের কাছে হার বাংলাদেশের

১০

কলকাতা মিশনে কোরবানি বন্ধের নির্দেশ / নবনিযুক্ত ডেপুটি হাইকমিশনারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাইছে সরকার

১১

পুত্রবধূকে বেধড়ক পিটুনি, মৃত ভেবে পালিয়ে যান শ্বশুর-শাশুড়ি

১২

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঝটিকা সফরে ঢাবি ভিসি

১৩

আতাউর রহমান ভূঞা স্মরণে লেখা গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠিত

১৪

দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদকের বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

১৫

সাভারে রং মিস্ত্রিকে গুলি করে হত্যা

১৬

ইশরাককে শপথ না পড়ালে আন্দোলন অন্যভাবে রূপ নেবে : সালাহউদ্দিন

১৭

‘আমরা প্রজাতন্ত্রের এমন চাকর মালিককে জেলে ভরে দিতে পারি’

১৮

আরব আমিরাতকে ২০৬ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

১৯

যুবদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর  

২০
X