ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ৩০ কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে যানজট। অপরদিকে যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড পরিমাণ যানবাহন পারাপার ও টোল আদায় হয়েছে।
জানা যায়, সড়ক দুর্ঘটনা, গাড়ি বিকল ও অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে উত্তরের পথে ৩০ কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো যাত্রী ও চালকরা।
অন্যদিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক ও বাসের ছাদে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা । এছাড়াও স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়ার নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করে ফেরার সময় খালি আসতে হয় বলে জানান।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড পরিমাণ প্রায় ৬৪ হাজার যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে, যা থেকে টোল আদায় হয়েছে প্রায় ৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
চালক ও যাত্রীরা জানান, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে যমুনা সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে আশেকপুর বাইপাস পর্যন্ত এ যানজটের সৃষ্টি হয়। ২ ঘণ্টার রাস্তা পার হতে সময় লাগছে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা। মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন বিকল ও দুর্ঘটনার ফলে এ ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে যমুনা সেতুর ধারণক্ষমতা কম থাকায় স্বাভাবিকভাবে গাড়ি পারাপার করতে পারছে না। ফলে উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী গাড়িগুলো ভূঞাপুর দিয়ে ঘুরিয়ে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে যমুনা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল ইসলাম পাভেল বলেন, যমুনা সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড পরিমাণ যানবাহন পারাপার হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতুতে প্রায় ৬৫ হাজার যানবাহন পারাপার হয়েছে, যা থেকে টোল আদায় হয়েছে প্রায় ৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এটিই সেতু তৈরির পর সর্বোচ্চ যানবাহন ও টোল আদায় বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ ।
অন্যদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিবুল হাসান রাসেল জানান, মহাসড়কে একাধিক বাস বিকল হয়। সেনাবাহিনী-পুলিশ যৌথভাবে যানজট নিরসনে কাজ করছে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যেই যানচলাচল স্বাভাবিক হবে।
তিনি বলেন, মহাসড়কে যানজট নিরসনে পালাক্রমে প্রায় ৬ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
মন্তব্য করুন