রাজবাড়ীর পাংশায় গাছ থেকে জাম পাড়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কসবামাঝাইল ইউনিয়নের পারকুল গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন- পারকুল গ্রামের কবির মণ্ডলের ছেলে মাহফুজ মন্ডল (৩১), মোতালেব বিশ্বাসের স্ত্রী জরিনা (৮০), ছেলে ইকবাল হোসেন (৩৫), মিলন মণ্ডলের স্ত্রী নাসিমা বেগমা (২৫), ইকবাল হোসেনের স্ত্রী নাসিমা খাতুন (৩২), রবিউলের স্ত্রী খাদিজা বেগম(২০) ও মুজাহার সরদারের ছেলে সবুজ সরদার (৩০)।
স্থানীয়রা জানায়, তালেব মণ্ডলের গাছ থেকে জাম পাড়ছিলেন আনোয়ার সরদার। এসময় তালেব মন্ডলের পুত্রবধূ জাম পাড়তে নিষেধ করেন। এতে দুপক্ষের মাঝে কথা কাটাকাটির শুরু হয়। পরে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। পরে আহতদের পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সবুজ সরদার বলেন, আমরা বিএনপি করি। আজ সকালে আমাদের জাম গাছ থেকে জোরপূর্বক জাম পাড়তে যায় নয়ন ও নাঈম। আমরা জাম পাড়তে নিষেধ করলে তারা চলে যায়। দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা আকমল হোসেন টেক্কাসহ ইউনিয়নের জয়নাল, তার ছেলে নয়ন ও নাঈমসহ প্রায় ১৫-২০ জন আমাদের ওপর হামলা করে। মূলত জাম পাড়াকে ইস্যু করে আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ৭ জন আহত হয়েছে। এছাড়াও আমাদের বাড়িতে লুটপাট চালিয়েছে। বিষয়টি আমরা থানা পুলিশকে জানিয়েছি। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা আকমল হোসেন টেক্কা কসবামাজাইল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। এ বিষয়ে জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন-অর রশিদ কালবেলাকে বলেন, আজকে যারা আহত হয়েছে তারা সবাই আমাদের (বিএনপি) দল করে। আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী কসবামাজাইল ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে মিশে প্রায়ই আমাদের লোকদের ওপর হামলা করে আসছে। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ বিষয়ে কসবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শারিয়ার সুফল মাহমুদ কালবেলাকে বলেন, জাম পাড়াকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়েছে। এখানে কে আওয়ামী লীগ, আর কে বিএনপি আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি শুনেছি ৩-৪ ঘণ্টা পর।
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন কালবেলাকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। জাম পাড়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন