কালিহাতী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ জুন ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

টাঙ্গাইলে শাকিবের ‘তাণ্ডব’ সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধের নেপথ্যে

টাঙ্গাইলে জেলা পরিষদের মাল্টিপারপাস হলে ‘তাণ্ডব’  সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধ করেছে আয়োজকরা। ছবি : কালবেলা
টাঙ্গাইলে জেলা পরিষদের মাল্টিপারপাস হলে ‘তাণ্ডব’ সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধ করেছে আয়োজকরা। ছবি : কালবেলা

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিরাপত্তা ও হুমকির মুখে ঈদ উপলক্ষে শাকিব খান অভিনীত ‘তাণ্ডব’ সিনেমা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন আয়োজকরা।

মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরে কালিহাতীর আউলিয়াবাদ এলাকায় জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হলে প্রচারিত সিনেমা বন্ধ করা হয়।

এর আগে, গত শুক্রবার আছরের নামাজের পর পারখী ইউনিয়ন ওলামা পরিষদের নেতারা বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরবর্তীতে সিনেমা বন্ধের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়।

জানা গেছে, স্থানীয় কামরুজ্জামান সাইফুল ও সাজু মেহেদীর নেতৃত্বে জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস ভাড়া নিয়ে জনপ্রিয় তাণ্ডব সিনেমা পরিচালনার আয়োজন করা হয়। হলটি এক মাসের জন্য অনুমতি নেওয়া হলেও ১০ দিনের ভাড়া পরিশোধ করা হয়েছে। ঈদের দিন থেকে কালিহাতীর আউলিয়াবাদসহ সারা দেশের ১৩২টি প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি চলছে।

আন্দোলনকারী মাওলানা আব্দুল্লাহ বলেন, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানে ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও অসামাজিক কার্যকলাপ হতে পারে। সেজন্য হলটি বন্ধের জন্য বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

আয়োজক সাজু মেহেদী বলেন, কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হলের এসি সার্ভিসিং, টিকিট প্রিন্টিং ও স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে আমাদের ৯ লাখ টাকার বেশি খরচ হয়েছে। আমরা সব মিলিয়ে আড়াই দিনের মতো ছবি চালাতে পেরেছি। ভালো সাড়া পাচ্ছিলাম। এছাড়াও আমাদের প্রচার-প্রচারণায় বাধা দেওয়া হয়েছে। পোস্টার লাগাতে দেয়নি ও মাইকিংও করতে দেয়নি।

আয়োজক কামরুজ্জামান সাইফুল বলেন, স্থানীয় আলেম-ওলামারা আমার যে ক্ষতি করল, এমন ক্ষতি যাতে আর কারো না হয়। সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। শুরু থেকে ভালোই সাড়া পাচ্ছিলাম। আশপাশের বল্লা, পারখী ও বীরবাসিন্দা এলাকার লোকজন না এলেও সখীপুর ও মির্জাপুরের দর্শক বেশি আসতেন।

তিনি বলেন, সকালে কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হলের সামনে ব্যানারে লাগানোর পর দুই মিনিটও রাখতে পারিনি। বিভিন্নভাবে আমার কাছে হুমকি আসতে থাকে। নিরাপত্তাহীনতার অভাবে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি।

কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। জেলা পরিষদের হলটি ভাড়া নিয়ে তারা সিনেমাটি চালাচ্ছিল। এদিকে হলটি বন্ধ করার জন্য আমার অফিসে আবেদনও করেছে। তবে আমি ছুটিতে রয়েছি। বর্তমান পরিস্থিতি জানি না।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তের মাধ্যমে আমরা ওই হলটি ভাড়া দিয়েছিলাম। সঙ্গে কিছু শর্তও দিয়েছিলাম, তার মধ্যে অন্যতম ছিল সেখানে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে সিনেমা চালানো বন্ধ করতে হবে। পরবর্তীতে কি হয়েছে আর জানি না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতে আরও এস-৪০০ সরবরাহ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা

‘কাঁটা লাগা’ খ্যাত অভিনেত্রী আর নেই

১০ ঘণ্টার মধ্যে ছিনতাইকৃত মোবাইল উদ্ধার করল পুলিশ

২০ হাজার নিমগাছ রোপণের উদ্যোগ ঘোষণা আমিনুল হকের

শুভ জন্মদিন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

সকল ইসলামি শক্তির মধ্যে সমঝোতা হতে যাচ্ছে : গোলাম পরওয়ার

মিরপুরে ভাড়াটিয়ার ওপর বাড়িওয়ালার হামলা

‘তারেক রহমান আওয়ামী ফ্যসিবাদ বিরোধী গণঅভ্যুত্থানের সফল রূপকার’

বাঙলা কলেজ সাংবাদিক সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা 

চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছে বিএনপির প্রতিনিধি দল

১০

গুলি করে ত্রাণকেন্দ্রের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করে ইসরায়েলি সেনারা

১১

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কঠোর বার্তা এনবিআরের 

১২

ভাঙা হয়েছে বিজয় সরণির ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’, হবে জুলাই স্মরণে ‘গণমিনার’

১৩

মধ্যরাতে ছাত্রীর প্রবেশপত্র পৌঁছে দিয়ে প্রসংশায় ভাসছেন শিক্ষক

১৪

আন্দোলনে অচল এনবিআর, বন্ধ হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি

১৫

‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ নিয়ে আপত্তি, পুনর্বিবেচনা করছে সরকার

১৬

ইরানে হামলায় ইসরায়েলকে রুখল না সিরিয়া, কেন এই নীরবতা

১৭

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে বিমান

১৮

জন্মদিনে বার্সার ১০ নম্বর জার্সি পাবেন ইয়ামাল

১৯

দেড়শ বছরের পুরোনো পিতলের রথযাত্রা উদযাপিত

২০
X