অবশেষে পরিবার খুঁজে পেল পাঁচ দিন ধরে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অজ্ঞাত অবস্থায় ভর্তিতে থাকা যুবক শামসুল হক। তিনি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ইজারা গ্রামের মৃত দুলাল মিয়া-শামসুন্নাহার দম্পতির একমাত্র ছেলে। পেশায় একজন গার্মেন্টস কর্মী। তার স্ত্রী এবং তিন বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যায় যুবককে নিতে আসা তার মামাশ্বশুর রবিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর আমি কালবেলায় একটি সংবাদ দেখতে পাই। তারপর আমি ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করি। আমার ভাগনির কোলের বাচ্চা অসুস্থ থাকায় আমি তাকে নিতে এসেছি। ছেলেটি অনেক ভদ্র তার সহজ সরল। আমি তাকে প্রথমে আমার বাড়িতে নেব তারপরে আমার বাড়ির পাশেই আমার ভাগনির বাড়ি দিয়ে আসব। আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।
শামসুল হকের স্ত্রী খালেদা আক্তার বলেন, গত শুক্রবার ঢাকা থেকে বাড়িতে আসার কথা ছিল। কিন্তু সন্ধ্যার পরে তাকে আর ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু কোথাও খোঁজ পাইনি পরবর্তীতে কালবেলার মাধ্যমে মাধ্যমে খবর পাই। আমার স্বামীর একটা বোন আছে তাকে আমরা বিয়ে দিয়ে দিয়েছি। আমার বাচ্চা অসুস্থ থাকায় আমার মামাকে পাঠিয়েছি। আপনারা একটু আমার মামার সঙ্গে আমার স্বামীকে পাঠিয়ে দেবেন। আপনাদের উপকারে কথা আমি কখনো ভুলব না।
সমাজসেবী মামুন বিশ্বাস বলেন, শুক্রবার থেকে এ যুবককে আমরা যখন পাই তারপর থেকে আমাদের স্থানীয় দুই স্বেচ্ছাসেবী মারুফ এবং আবু হাসান তার পেছনে প্রচুর শ্রম দিতে থাকেন। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং কালবেলায় সংবাদ প্রচারের পর তার পরিবারের খোঁজ পাওয়া যায়। হাসপাতালে যখন ভর্তি হয়েছিল তখন থেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে ছেলেটাকে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছিলেন। যার ফলে আজকে তাহাকে অনেকটাই সুস্থ করে তাহার পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. কাইয়ুম বলেন, শুক্রবার রোগীটি অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর হাসপাতালের চিকিৎসায় এবং সবার প্রচেষ্টায় যুবকটি এখন সুস্থ হয়েছেন। আজকের তাকে আমরা রিলিজ দিয়ে দিয়েছি।
কামারখন্দ থানার উপরিদর্শক মনসুর হোসেন যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করে তাদেরকে বিদায় দিয়ে দেন।
মন্তব্য করুন