মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের গুহরোডের পাশের ফুটপাতের কাজে অনিয়মের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে লাঞ্চিত হয়েছেন এক সাংবাদিক। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। লাঞ্চিত হওয়ায় ওই সাংবাদিক এসকে দাশ সুমন দৈনিক কালবেলার পত্রিকার শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এরইমধ্যে সাংবাদিক লাঞ্চিতের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সাংবাদিক সুমনকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে লাঞ্চিত করেছেন এক ঠিকাদার।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ১৪ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে একটি ভিডিওতে আরও দেখা যায়, শহরের গুহরোডে রাস্তার পাশের ফুতপাতের উপর পুরাতন টাইলস ভেঙ্গে নতুন টাইলস লাগানোর কাজ চলছিল। এ সময় দুপুরে সেখানে যান দৈনিক কালবেলার শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি ও শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক এসকে দাশ সুমন। সেখানে তিনি ফেসবুকে লাইভে এসে টাইলস বসানোর সরঞ্জাম (সিমেন্ট ও বালু) নিজ হাতে দেখানোর চেষ্টা করেন।
যেখানে দেখা যায় বালুর পরিমাণ বেশি আর বিপরীতে সিমেন্ট কম। এ সময় ওই কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার কুতুব উদ্দিন ঘটনাস্থলে এসে সুমনকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। পরে বিষয়টি নিয়ে দুইজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হলে এক পর্যায়ে ঠিকাদার সেখান থেকে চলে যান।
এ সময় উপস্থিত লোকজন বলেন, এখানে আগের টাইলসই ভালো ছিল। সেগুলো ভেঙে নতুন করে কাজ করা হচ্ছে। বালুর পরিমাণই বেশি দিচ্ছে তারা। এগুলো কেউ দেখছে না।
এ বিষয়ে কালবেলার শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি এসকে দাশ সুমন বলেন, আমাকে সকাল থেকেই অনেক লোকজন ফোন করে বলছে এখানে কাজের অনিয়ম হচ্ছে। তো আমি সেখানে গিয়ে প্রমাণ রাখার জন্য ফেসবুকে লাইভ করছিলাম। হঠাৎ করেই ঠিকাদার এখানে এসে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। অন্যান্য সাংবাদিকদের নিয়েও একই ভাষায় কথা বলতে থাকেন। আমি ভালো করে লক্ষ্য করেছি, টাইলসের কাজে অনেক অনিয়ম হচ্ছে। আমি এই বিষয়ে থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এই বিষয়ে ঠিকাদার কুতুব উদ্দিনকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি কোনো সাড়া দেয়নি।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শ্রীমঙ্গল পৌরসভার প্রশাসক ইসলাম উদ্দিন বলেন, ফুতপাতের টাইলস বসানো নিয়ে যে অভিযোগ এসেছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি। সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন