বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১০১ আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে।
এ নিয়ে বিভাগে চলতি বছরে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৬৮৪ জনে। আর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮ জন হয়েছে।
সর্বশেষ মৃত্যু হয়েছে- পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকরাবুনিয়া গ্রামের সোহরাব হোসেনের স্ত্রী লাইলি বেগম (৪০)। ১৩ জুন রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে গত ১২ জুন তাকে এ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়।
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. এসএম মনিরুজ্জামান শাহীন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের হাসপাতালে নতুন করে আরও ১৪ আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। এছাড়া দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে ৮৭ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১০১ জনসহ বর্তমানে বিভাগের ৬টি জেলার দুটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে ৩৮৮ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি মাসের শুরু থেকে বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে শুরু করেছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৫৮৩ জন। মৃত্যু হয়েছে আটজনের। এর মধ্যে বরগুনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মৃত আটজনের মধ্যে পাঁচজনই বরগুনার। আক্রান্তের সংখ্যাও বরগুনায় বেশি। এ জেলায় এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৬৮০ জন। এ জেলার সর্বোচ্চ ২৪১ জন এখনো বরগুনার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল কালবেলাকে বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা উদ্বেগ ও আশঙ্কাজনক। এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে চিকিৎসার চেয়ে সামাজিক প্রতিরোধ জরুরি। তাই মশার বিস্তার রোধ করতে বাড়ির আশপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে। মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে হবে।
মন্তব্য করুন