জুলাই আন্দোলনে রাজপথে গুলিবিদ্ধ হন ছাত্রদল নেতা মুহাম্মদ বাবলু। এখন তিনি লড়ছেন মরণব্যাধি ক্যানসারের সঙ্গে। তবে অর্থাভাবে থমকে গেছে তার চিকিৎসা।
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা আবুল কাশেমের ছেলে বাবলু। টঙ্গীর ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক তিনি। গাজীপুরের টঙ্গী বেপারীবাড়ি এলাকায় বড় ভাইয়ের সঙ্গে থেকে টঙ্গী সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু দুই মাস আগে ধরা পড়ে খাদ্যনালিতে ক্যানসার।
২০২৪ সালের ১৮ জুলাই উত্তরা বিএনএস সেন্টারে আন্দোলনে অংশ নেন বাবলু। সেখানে পুলিশের গুলিতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। এখনো তার বুকে একটি ছররা গুলি রয়ে গেছে। ২১ বছরের এই তরুণ এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।
বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন রাজধানীর ধানমন্ডির একটি প্রাইভেট হাসপাতালে। চিকিৎসকদের মতে, বাবলুকে মোট ৮টি কেমোথেরাপি নিতে হবে। ইতোমধ্যে তিনটি থেরাপি দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি থেরাপির খরচ প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি টাকা। এরপর লাগবে অস্ত্রোপচার, যার খরচ আরও কয়েক লাখ টাকা।
বাবলু বলেন, এখন পর্যন্ত ৩ লাখ টাকার মতো খরচ হয়ে গেছে। আর ৫টা থেরাপি বাকি। অপারেশন তো দূরের কথা, পরের থেরাপিগুলো কীভাবে হবে বুঝতে পারছি না।
টঙ্গী পশ্চিম থানার সাবেক ছাত্রদলের আহ্বায়ক রেদোনুর রহমান প্রত্যয় বেপারী বলেন, বাবলু আমাদের সাহসের প্রতীক। এই বয়সে গুলি খেয়েও মাথা নত করেনি। আজ সে ক্যানসারে আক্রান্ত। অর্থের অভাবে তার জীবন থেমে যাক, এটা মেনে নেওয়া যায় না। দল-মত নির্বিশেষে আমাদের সবার উচিত এই সাহসী সন্তানের পাশে দাঁড়ানো।
বাবলুর চিকিৎসায় সহযোগিতা চেয়ে সমাজের সব স্তরের মানুষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। বাবলুর চিকিৎসা সহায়তায় সরাসরি যোগাযোগ করা যাবে তার পরিবারের সঙ্গে। মুঠোফোন নম্বর ০১৭১৬ ৬৯০৭৫৮।
মন্তব্য করুন