পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে হলে উন্নত পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, শুধু রাস্তাঘাট উন্নয়ন নয়, স্মার্ট চট্টগ্রাম গড়তে হলে আধুনিক স্যানিটেশন ও বর্জ্য পরিশোধন কাঠামো গড়ে তোলা জরুরি। জলাবদ্ধতা নিরসন, পানি ব্যবস্থাপনায় স্থায়িত্ব এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এর বিকল্প নেই।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) নগর ভবনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগরীর পয়ঃবর্জ্য ও অনসাইট স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম ওয়াসা এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মধ্যে সম্ভাব্য ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর নিয়ে করণীয় নির্ধারণে এ সভার আয়োজন করা হয়।
মেয়র বলেন, যেসব এলাকায় সুয়ারেজ লাইন স্থাপন সম্ভব নয়, সেখানে প্রযুক্তিনির্ভর বিকল্প বর্জ্য সংগ্রহ ও পরিশোধন পদ্ধতি চালু করতে হবে। মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যত দেরি হবে, জনস্বাস্থ্য তত হুমকিতে পড়বে।
সভায় ওয়াসার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম শহরের জন্য একটি সমন্বিত ড্রেনেজ ও স্যানিটেশন মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়। সেখানে পুরো শহরকে ৬৬টি ক্যাচমেন্ট এলাকায় ভাগ করে প্রতিটিতে একটি করে পয়ঃশোধনাগার নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। পাশাপাশি, দুটি ফিকাল স্লাজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করার সুপারিশ করা হয়।
ওয়াসা জানায়, যেসব এলাকায় সুয়ারেজ সংযোগ দেওয়া যাবে না, সেখানে সেপটিক ট্যাংক থেকে বর্জ্য যান্ত্রিকভাবে সংগ্রহ করে পরিশোধনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় একটি সমীক্ষাও ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, ওয়াসার টাস্ক টিম লিডার আরিফ আহমেদ, কো-টাস্ক লিডার হার্শ গয়াল, ইনস্টিটিউশনাল কনসালট্যান্ট সোমনাথ সেন, প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ রেজাউল আহসান চৌধুরী।
মন্তব্য করুন