কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এবারের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় (এইচএসসি) ঝরে পড়েছে ২৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী, যা ৫ ভাগের ১ ভাগ। গতবারের চেয়ে এবার ঝরে পড়ার সংখ্যা কমেছে, তবে হার প্রায় একই। গতবছর ঝরে পড়েছিল ২৯ হাজার ২০৪ জন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১০টায় বাংলা প্রথম পত্রের মাধ্যমে শুরু হচ্ছে ২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের আওতাভুক্ত ছয় জেলা কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ বছর পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ১ লাখ ১ হাজার ৭৫০ শিক্ষার্থী।
কুমিল্লা বোর্ড থেকে জানা গেছে, চলতি বছর কুমিল্লা বোর্ডে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯০ শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করলেও শেষ পর্যন্ত পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেননি ২৫ হাজার ৪৪০ জন। পরীক্ষার আগে এত বড় সংখ্যায় শিক্ষার্থীর বাদ পড়ে যাওয়া শিক্ষা ব্যবস্থায় ভয়াবহ অবস্থার বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ বছর মোট ৪৫৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১৯২টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ৪২ হাজার ৭৪১ জন এবং ছাত্রী ৫৯ হাজার ৯ জন। ছাত্রী ৫৯ হাজার ৯ জন। ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। বিভাগ অনুযায়ী মানবিকে সবচেয়ে বেশি অংশ নিচ্ছেন ৪৭ হাজার ৯৫৮ জন, ব্যবসায় শিক্ষায় ২৭ হাজার ৫৫৪ এবং বিজ্ঞান বিভাগে সবচেয়ে কম ২৬ হাজার ২৩৮ জন।
কুমিল্লা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. শামসুল ইসলাম বলেন, অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে চলে গেছে। কেউ কেউ পারিবারিক কারণে—যেমন বিয়ে কিংবা আর্থিক সমস্যার জন্য পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। এ কারণে ফরম পূরণ না করেই তারা বাদ পড়েছে।
কুমিল্লা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর রুনা নাছরীন বলেন, নকল ও প্রশ্নফাঁস রোধে আমরা আগের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছি। প্রতিটি জেলায় বোর্ডের বিশেষ টিম কাজ করছে। প্রশ্নপত্র স্থানীয় প্রশাসনের জিম্মায় সরবরাহ করা হবে।
তিনি জানান, কেন্দ্রগুলোতে পুলিশ ও প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পরীক্ষায় নিরাপদ ও সুষ্ঠু পরিবেশে নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ।
মন্তব্য করুন