ফরিদপুরের সালথায় বাবার ওপর অভিমান করে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সামিউল শরীফ নামে এক স্কুলছাত্র আত্মহত্যা করেছে। সোমবার (২৩ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার বড় খারদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সামিউল শরীফ বড় খারদিয়া গ্রামের মেহেদী হাসান শরীফের ছেলে ও বড় খারদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
সামিউলের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২৩ জুন) বিকেলে সামিউল ইসলাম তার বাবা মেহেদী হাসানের কাছে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য একটি ক্লিপবোর্ড চায়। মেহেদী হাসান সন্ধ্যার পর ক্লিপবোর্ড কিনে দিবে বলে জানায়। এ ক্ষোভে বাবার ওপর অভিমান করে সামিউল রাত ৮টার পর ঘরের আড়ার সঙ্গে মায়ের ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। সামিউলকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে সামিউলের মা ডাক চিৎকার দিলে লোকজন তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সালথা থানার ওসি মো. আতাউর রহমান কালবেলাকে বলেন, ক্লিপবোর্ড কিনে দিতে দেরি হওয়ায় বাবার উপর অভিমান করে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সামিউল আত্মহত্যা করে। নিহতের মরদেহ আইনিপ্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে।
মন্তব্য করুন