চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণ এলাকায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার (০১ জুলাই) ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদের আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি অঞ্চল) মাহফুজুর রহমান অভিযোগপত্র জমা দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের সহকারী পিপি রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আলিফ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার দাখিল করা চার্জশিটে এজহারনামীয় ও তদন্তে প্রাপ্ত মোট আসামি ৪২ জন। তারমধ্যে ৪ জনকে অব্যাহতি দানের জন্য বলা হয়। এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে ২০ জন। বাকি ১৮ জন পলাতক।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন বলেন, চিন্ময় দাসসহ ৩৮ জনকে আসামি করে আইনজীবী হত্যা মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। গত ৫ মে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত চিন্ময়কে আইনজীবী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি অঞ্চল) মাহফুজুর রহমান বলেন, চিন্ময়ের উসকানি ও নির্দেশে আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে। এ জন্য মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও ৫টি মামলা হয়। ছয়টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।
মন্তব্য করুন